পরবাসে অন্নপূর্ণা উমার হেঁসেল, বার্মিংহামে অপরূপ আয়োজন দুর্গাপুজোর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজো (Durgapuja) মানেই উৎসবের সময়। সারা বছর ধরে এই চারটি দিনের অপেক্ষায় থাকে আপামর বাঙালি। শুধু বাংলার নয়, বিদেশেও প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটিগুলি আয়োজন করে থাকে দুর্গাপুজোর (Durgapuja)। নবারুণ বেঙ্গলি কালচারাল নামক অ্যাসোসিয়েশন কিংস হিথ্ সেন্টার এ যেটি ৮ নং হেল্থফিল্ড রোড,বারমিংহাম বি ১৪ ৭ ডি বিতে অবস্থিত। এই বার তাদের মাতৃ আরাধনার ৪৮ বছর পূরন হবে।

বার্মিংহামে দুর্গাপুজোর (Durgapuja) অপরূপ আয়োজন

প্রতি বছরের মত এ বছরও মায়ের পুজোর (Durgapuja) ধুমধাম করে চলছে তাদের প্রস্তুতি। দেশে না থেকেও দেশের এই বিশাল উৎসবটিকে তারা প্রবাসে পালন করেন এটাই একটি অমূল্য পাওয়া। যারা এই পুজোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা সত্যিই বোধহয় জানতেন না যে তাদের পুজো টি (Durgapuja) আজ এত বড় আকার ধারণ করবে।

আরো পড়ুন : বাঙালি মেয়ে বিয়ে করেন দক্ষিণী তারকাকে, নাগার্জুনের স্ত্রীর আসল পরিচয় জানেন!

ভোগ গ্রহণ করেন ১৫০০-১৬০০ মানুষ

যারা দেশ ছেড়ে প্রবাসে লন্ডনে থাকেন তারা একবার হলেও এই পুজোটি (Durgapuja) ঘুরে দেখুন সত্যি আপনি একটিবারের জন্য নয়ন ফেরাতে পারবেন না। মাতৃ বোধন থেকে শুরু করে মাতৃ নিরঞ্জন একটি সুন্দর রীতি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । আর যদি বলেন তাদের আতিথেয়তার কথা তাহলে তো বলতেই হবে যে মাতৃ পুজোর ভোগ গ্রহণ করতে পারেন মোটামুটি ১৫০০ থেকে ১৬০০ মানুষ।

আরো পড়ুন : কিংবদন্তি হওয়ার প্রতিভা ছিল, সঠিক মূল্য পাননি শ্রীদেবী-মাধুরী, আক্ষেপ জাভেদের

রয়েছে যথেষ্ট বসার জায়গা

এই প্রবাসি অন্নপূর্ণা উমার হেঁসেলে পুজোর কটিদিন রন্ধন হয় নানান ধরনের ব্যঞ্জন এবং সেই ব্যঞ্জন দেবী দুর্গাকে অর্পণ করার পরে এই অগুনিত ভক্তদের ভোগ হিসেবে দান করা হয় যথেষ্ট পরিমান বসার জায়গা করা হয়ে থাকে যেখানে তারা বসে এই ভোগ গ্রহণ করেন।পঞ্চমী থেকে দশমীর আড্ডা, খাওয়া – দাওয়া, মন্ডপ পরিক্রমা এই কটি দিন যেন তারা আনন্দের এক সুদীর্ঘ সাগরে ডুব দেন।

Durgapuja

দুর্গাপুজোর (Durgapuja) কয়েকটা দিন যে কীভাবে কেটে যায় তা বুঝতেই পারা যায় না। বিশেষ করে দেশের বাইরে প্রবাসীরা, যারা পুজোর সময় দেশে আসার সময় সুযোগ পান না তাদের জন্য দেশের বাইরের এই পুজোগুলিই হয়ে ওঠে বাড়ির উৎসবের মতো।


Niranjana Nag
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর