বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নিরবাচুনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে অনেকের। বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কেই (Saumitra Khan) পুনরায় এই আসনে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি শিবির। ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুরে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার ভোট হয়েছে এখানে। এবার ভোট মিটতেই গুরুতর অভিযোগ আনলেন পদ্ম প্রার্থী। EVM লুঠ করছে পুলিশ, লাইভে এসে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।
সোমবার একদিকে রেমালের দাপটে যখন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তখন ময়দানে নেমে পড়েছেন সৌমিত্র। এদিন দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে EVM লুঠের অভিযোগ আনেন তিনি। লাইভ ভিডিওয় ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) পদ্ম প্রার্থীকে। লাইভের ক্যাপশনে লেখেন, ‘বাঁকুড়া জেলার অ্যাডিশনাল এসপি এবং বিষ্ণুপুরের এসডিপিও এবং আইসি দেখুন কীভাবে সিসিটিভি চেঞ্জ করে ইভিএম লুঠ করার চেষ্টা করছে’।
লাইভের শুরুতেই সৌমিত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কত দম আছে আমি জানি’। এরপর সরাসরি ইভিএমের বক্স ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সৌমিত্র বলেন, মেশিন বদলাবে বলে দুপুর বেলায় গাড়ি নিয়ে পুলিশবাহিনী চলে এসেছে। ক্যামেরায় সেই ছবিও দেখান তিনি।
আরও পড়ুনঃ গরমের ছুটি শেষ! এদিন থেকে খুলছে রাজ্যের স্কুল, ভোটের মধ্যেই ঘোষণা শিক্ষা দফতরের
সৌমিত্র বলেন, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ইভিএম সেন্টারে সমস্ত বিজেপি কর্মী এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, কেন শুধুমাত্র পুলিশ অফিসারেরা ইভিএম যেখানে তালা দেওয়া রয়েছে সেখানে যাবে?’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, সব জায়গায় এমনটা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অতি সত্ত্বর এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
সেই সঙ্গেই সিসিটিভির সঙ্গে কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন সৌমিত্র। সরাসরি এসডিপিও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে সৌমিত্র বলেন, এখানে সিসিটিভি খারাপ করার চেষ্টা করছেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় লাইভে এক যুবককে দেখিয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভি খারাপ করতে যে এসেছিলেন তা এবার হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সেই যুবককে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশবাহিনীর উদ্দেশে ‘চোর চোর’ বলতেও শোনা যায় সৌমিত্রকে। সব মিলিয়ে, এদিন একেবারে রণংদেহি মেজাজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার এই লাইভ বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই লাইভের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন তিনি। এবার দেখা যাক, কমিশন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা।