বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে ফের একবার সংসদে গিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ হয়েছেন তিনি। এবার BJP-র এই হেভিওয়েট নেতাকেই সংসদে ‘ফুল ফর্মে’ দেখা গেল। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দলকে একহাত নিলেন তিনি। বাংলায় বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই, পদ্ম শিবিরের ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, এমন নানান কথা শোনা গেল তাঁর মুখে।
এদিন নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Bishnupur MP)। সৌমিত্র লেখেন, ‘তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অষ্টাদশ লোকসভায় মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সত্রে বলবার সুযোগ পেলাম’। দীর্ঘ ক্যাপশনে রাজ্যের শাসক দল এবং লোকসভার বিরোধী জোটকেও একহাত নেন সৌমিত্র।
বক্তব্যের শুরুতেই বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে প্রণাম জানান BJP নেতা। তৃতীয়বার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। এরপরেই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। সৌমিত্র বলেন, ‘রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি, আদালতকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ হকার উচ্ছেদ অতীত, এবার টোটো নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! প্রশাসনের এক নির্দেশে ঘুম উড়ল টোটো মালিকদের!
বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে কখন নির্বাচন হবে না। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া এই রাজ্যে কোনও পঞ্চায়েত এবং মিউনিসিপ্যাল ভোট হয় না বলে দাবি করেন তিনি। সৌমিত্র বলেন, ‘আমাদের ২০০ জন কার্যকর্তাকে মেরে দেওয়া হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের কোনও স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদের ওখানে বলার অধিকার নেই’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীপক্ষের সাংসদ, বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন না বলে দাবি করেন তিনি। সংসদে দাঁড়িয়ে চোপড়া কাণ্ড নিয়েও সুর চড়ান সৌমিত্র।
কোচবিহার কাণ্ডের উদাহরণ টেনে বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, ‘কোচবিহারে শুধুমাত্র BJP করার জন্য একজন মহিলাকে রাস্তায় উলঙ্গ করে ঘোরানো হয়েছে। এটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি?’ বক্তব্য শেষের আগে সৌমিত্র বলেন, ‘কয়েকদিন পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতি শেষ হয়ে যাবে’। ১০ বছর পর একথা সবার মনে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।