বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma) হলেন প্রকৃতপক্ষে একজন হিন্দু দেবতা। ঋগ্বেদ অনুযায়ী তাঁকে পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা হিসাবে গণ্য করা হয়। রামায়ণের দেব বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হন দেব বিশ্বকর্মা। সাধারণত, কারিগর দেবতা হিসাবেই পরিচিত দেব বিশ্বকর্মা। দেব বিশ্বকর্মাকে আবার দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারও বলা হয়।
পুরাণে বর্ণিত আছে, দেব বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরী নির্মান করেছিলেন। এমনকি তিনি বিশ্বভুবনেরও নির্মাতা। পাশাপাশি তিনি দেবাদিদেব মহাদেবের ত্রিশূল, বিষ্ণু দেবের সুদর্শন চক্র, দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্র, কুবেরের শক্তিশালী অস্ত্র, কার্তিকেয়র শক্তিও নির্মাণ করেছিলেন।
পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তির নির্মাতাও তিনি। স্বর্ণকার, কর্মকার, দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি কর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত এই পূজা করে থাকেন। কথিত আছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মান করে একটি দেবাদিদেব মহাদেবকে দিয়েছিলেন ত্রিপুরাসুর বধের এবং অপরটি বিষ্ণুকে দিয়েছিলেন।
বিশ্বকর্মা ঠাকুরের ধ্যানমন্ত্র
- দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ।
- বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।
- ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ
সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই, মা দূর্গার আগমনের আভাস পাওয়া। প্রতি বছর এই ১৭ ই সেপ্টেম্বর দিনটিতেই কিন্তু বিশ্বকর্মা পূজার শুভ তিথি পড়ে। এদিন পুজো পাঠের পাশাপাশি আকাশে ওড়ে ঘুড়ির মেলা। বছরের অন্যান্য দিন আকাশে ঘুড়ির দেখা না মিললেও, এদিন কিন্তু সমগ্র নীল আকাশ রং বেরঙের বিভিন্ন ধরনের ঘুড়িতে ছেয়ে যায়।