বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত বাঙালি আর বন্দেমাতরম বলে না। বরং বিসমিল্লাটাই (Bismillah) বেশি রোম্যান্টিক! কটাক্ষ শানিয়ে পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটনাগরিকদের একাংশ। বয়কট সংষ্কৃতিতে জেরবার বলিউড। আরব সাগর পার থেকে হাওয়া এসে পৌঁছেছে টলিউডেও। বাংলা ছবিও এখন বাতিলের মুখে।
শুরুটা হয়েছিল রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’ দিয়ে। ধর্মযুদ্ধ মুক্তি পেতে না পেতেই অভিযোগ উঠেছিল, ছবিতে গীতার শ্লোক পড়ে গলা কাটা দেখানো হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ তুলে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল ধর্মযুদ্ধকে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিসমিল্লা’।
পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি বিসমিল্লা। কাকতালীয় ভাবে দুই ছবিরই নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বয়কটের ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। এর মধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল জনৈক নেটনাগরিকের পোস্ট। বলিউড, দক্ষিণ আর টলিউডের তুলনা টেনেছেন তিনি।
লিখেছেন, ‘বলিউড যখন বলছে, “বলতেই হবে বিসমিল্লা”, দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম জগৎ তখন বলছে, “বন্দেমাতরম”! বঙ্কিমচন্দ্রের বাঙালি, বিবেকানন্দের বাঙালি, সুভাষচন্দ্রের বাঙালি, অরবিন্দের বাঙালি, এক হাতে গীতা আর এক হাতে তরোয়াল নিয়ে স্বাধীনতার শপথ নেওয়া বাঙালি, “বন্দেমাতরম” মন্ত্রে দীক্ষিত বাঙালি… বলে কিনা “বলতেই হবে বিসমিল্লা”!’
সঙ্গে দুটি পোস্টার শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। একটি পোস্টার দক্ষিণ ভারতে তৈরি হতে চলা ‘আনন্দমঠ’এর আর অন্যটি টলিউডের বিসমিল্লার যেখানে অভিনেতা ঋদ্ধি সেনের একটি সংলাপ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ওই ব্যক্তি।
বিসমিল্লার বিরুদ্ধে বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। তাঁর স্পষ্ট কথা, “আমি কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত। রোজ গুরুমন্ত্র জপ করি। এরপরেও মানুষের কিছু বলার থাকলে বলুক।”
মুখ খুলেছেন শুভশ্রীও। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, তিনি যখন বর্ধমানে থাকতেন তখন প্রতি শুক্রবার তাঁর ঠাকুমা মাজারে নিয়ে যেতেন। ধূপ, মোমবাতি জ্বালাতেন। অন্য রকম পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। এখন বয়কটের ডাক শুনে বিস্মিত শুভশ্রী। তাঁর মতে, এসব নিয়ে কথা বলা উচিতই নয়।