বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বানারহাটের (Banarhat) তোতাপাড়া চা বাগান থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার হল একটি বাইসনের (Bison) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। এই ঘটনায় চা বাগান কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বন দফতর।
এদিন ভোরের দিকে বানারহাট থানার অন্তর্গত তোতাপাড়া চা বাগানে তিনটি বাইসনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে দু’টি বাইসন বেলা বাড়তে তোতাপাড়ার জঙ্গলে ঢুকে গেলেও একটি বাইসন চা বাগানের ২৩ নম্বর সেকশনে একটি নালায় পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী, বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জার অর্ঘ্যদীপ রায় ও অন্যান্য বনকর্মীরা। উপস্থিত হন বানারহাট থানার পুলিশকর্মীরাও।
বনকর্মীরা বাইসনটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু দেখা যায় তার আগেই বাইসনটির মৃত্যু হয়েছে। বনকর্মীরা কাছে গিয়ে দেখেন বাইসনটির দেহ ক্ষতবিক্ষত। প্রচুর রক্তপাত হয়েছে তার শরীর থেকে। বন আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, চা বাগানে লাগানো কাঁটাতারেই দেহ ক্ষতবিক্ষত হয় বাইসনটি। তোতা পাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁদের বাগানে কাঁটাতার নেই। আশেপাশের কোনও চা বাগান থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনারারি ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী (Seema Chowdhury) বলেন, ‘‘কিছু চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানে এই কাঁটাতার লাগিয়ে বন্য প্রাণীদের বিপন্ন করে তুলছে। কিছুদিন আগেই বনমন্ত্রী চা বাগানগুলি থেকে এই কাঁটাতার খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও চা বাগানগুলি থেকে কাঁটাতার খুলে ফেলা হয়নি। ফলে একের পর এক বন্য প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। বিষয়টি ফের মন্ত্রীকে জানাব।’’
ঘটনায় টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (Association of India) উত্তরবঙ্গের সচিব রাম অবতার শর্মা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সমস্ত মেম্বার গার্ডেনকে জানিয়ে দেওয়ার পর সবাই তারকাঁটা খুলে ফেলেছে বলেই জানি। যদি কোনও চা বাগান তা না খুলে থাকে তবে বন দফতর সেগুলি খুলে নিক। বন্যপ্রাণীদের রক্ষার দায়িত্ব সবার। আমরাও চাই বন্যপ্রাণীরা নিরাপদে থাকুক।’’