বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজো ও দশেরা উপলক্ষে যখন গোটা দেশ আনন্দে মাতোয়ারা তখন কিন্তু ঠিক উল্টো ছবি উত্তরপ্রদেশের বিসরাখ (Bisrakh) গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দারা দশেরা উপলক্ষে আনন্দ-উৎসব নয়, বরং পালন করেন শোক। গোটা দেশ জুড়ে মহা ধুমধামের সাথে পালন করা হয় দশেরা। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি, দশেরা উপলক্ষে আনন্দে মাতেন সবাই।
দশেরায় শোক প্রকাশ বিসরাখ (Bisrakh) গ্রামে
তবে উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে দশেরার দিন ভারাক্রান্ত মনে শোক পালন করা হয়। এই গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের বিসরাখ (Bisrakh) গ্রাম রাবণের জন্মভূমি। গ্রামবাসীরা নিজেদের রাবণের বংশধর বলেও দাবি করেন। তাই রাবণের মৃত্যু দিন তাদের কাছে আনন্দের নয়। সেই কারণে দশেরার দিন এই গ্রামের বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে শোক পালন করে আসছেন।
আরোও পড়ুন : বাঙালি মেয়ে বিয়ে করেন দক্ষিণী তারকাকে, নাগার্জুনের স্ত্রীর আসল পরিচয় জানেন!
বিসরাখের (Bisrakh) গ্রামবাসীদের বিশ্বাস শিব ভক্ত হিসাবে রাবণ সবার কাছে আদর্শ। এই গ্রামে প্রচলিত রীতি-নীতির মধ্যে অন্যতম এটি। দুর্ভাগ্য যাতে এই গ্রামের বাসিন্দাদের গ্রাস করতে না পারে সেই ভয়ে এখানে দশেরা পালিত হয় না। উল্টে দশেরার দিন এই গ্রামের বাসিন্দারা পুজো দেন বিসরাখ রাবণ মন্দিরে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস এই মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে যেটি এক সময় রাবণ ও তাঁর বাবা ঋষি বিশ্রাবদ পুজো করতেন। হিন্দু পুরাণ থেকে জানা যায় রাবণ অত্যন্ত শিক্ষিত ও শক্তিশালী একজন রাজা ছিলেন। তার সাথে তিনি ছিলেন শিবের উপাসক। আবার হিন্দুদের প্রধান দেবতা রামের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে রাবণকে।
তবে ভারতের বেশকিছু জায়গা রয়েছে যেখানে রাবণকে (Ravan) পুজো করা হয়। কানপুর, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলা, কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলা ও অন্যান্য একাধিক জায়গায় রয়েছে রাবণের মন্দির। এইসব জায়গায় দশেরার (Dussehra) দিন উৎসব পালন সাধারণত হয় না। এই দিনটিকে প্রতীকী শোক দিবস হিসাবে পালন করে আসেন গ্রামবাসীরা।