বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিত্যদিন একের পর এক নতুন নাম জুড়ছে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তালিকায়। গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে এসেছে আরও এক বড় প্রভাবশালীর। বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারীর (Bivash Adhikari)। রাজনীতিতেও সরাসরি যোগ রয়েছে তার। এসব নিয়েই যখন জোর চর্চা সেইসময়ই রাজীনীতি (Politics) থেকে চিরতরে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নলহাটির বিভাস।
বুধবার নলহাটির শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়ে রাখি, খাতায় কলমে তৃণমূলের নলহাটি (Nalhati) দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি বিভাস। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও গোপাল দলপতি এই দুজনের মুখেই শোনা গিয়েছে বিভাস অধিকারী প্রসঙ্গ। তারপর থেকেই লাইমলাইটের কেন্দ্রবিন্দু তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে ঠিক কী জানালেন বিভাস? তিনি বলেন, নিজের পরবর্তী জীবনে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র (Anukul Chandra) ও তার নির্মিত আশ্রম নিয়ে সময় কাটাতে চান তিনি। অন্যদিকে, অনুকুল ঠাকুরের আশ্রমের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণপুরে বিভাস অধিকারী যে আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার সাথে দেওঘরের মূল আশ্রমের কোনও যোগ নেই।
সূত্রের খবর, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদ থেকে সরে এসেছেন। পাশাপাশি “আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না” বলে দাবি করেন তৃণমূলের বিভাস। কিছুমাস আগে নলহাটির ব্লক সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিভাস। তবে সেই ইস্তফাও নাকি দলীয় রীতি মেনে হয়নি।
দল সূত্রে খবর, বিভাস জেলা সভাপতিকে ইস্তফাপত্র না দিয়ে পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য্যকে পদ ছাড়ার চিঠি দেন। তবে খাতায় কলমে এখনও তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি বিভাসই। এই বিষয়ে রামপুরহাট মহকুমার তৃণমূল পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য্য বলেন, উনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। আমরা ওই ব্লকে তিনজন কার্যকরী সভাপতি করে দল চালাচ্ছি। হঠাৎ নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর ফলেই কী ghota করে ফের ইস্তফা? উঠছে প্রশ্ন।