রান্নাঘর ও শোওয়ার ঘর ২টি আলাদা রাজ্যে, এমন অদ্ভুত বাড়িতে বাস করে এই পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কখনও ভেবে দেখেছেন? আপনার বাড়ি যদি একইসঙ্গে দু’টি আলাদা রাজ্যে অবস্থিত হত? এমনই এক ‘অদ্ভুত’ বাড়ির (Bizarre House) সন্ধান মিলেছে যেটি একইসঙ্গে দু’টি রাজ্যে অবস্থান করে। চন্দ্রপুর জেলার মহারাজাগুড়া গ্রামের একটি পরিবারের বাড়ি একইসঙ্গে মহারাষ্ট্র ও তেলঙ্গানায় বসবাস করে। বাড়ির এক প্রান্ত মহারাষ্ট্রে হলেও অন্য প্রান্ত পড়ে তেলঙ্গানায়।

দুই রাজ্যের মধ্যে ১৪টি গ্রাম নিয়ে বিবাদ রয়েছে। মহারাষ্ট্র ও তেলঙ্গানার সীমান্তবর্তী ১৪টি গ্রামের উপর দুই রাজ্যই অধিকার চায়। যার ফলে এখানকার গ্রামের একাধিক পরিবার একইসঙ্গে দু’টি রাজ্যের বাসিন্দা। যেমনটা হয়েছে ১৩ সদস্যের পাওয়ার পরিবারের সঙ্গে।

একইসঙ্গে দু’টি রাজ্যে অবস্থানের ফলে কোনও অসুবিধা হয় পাওয়ার পরিবারের? বাড়ির মালিক উত্তম পাওয়ার জানিয়েছেন, একইসঙ্গে দু’টি রাজ্যে থাকার ফলে দুই রাজ্যের সরকারের কল্যানমূলক প্রকল্পের সুবিধা পান তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের কাছে দুই রাজ্যের নম্বর প্লেটওয়ালা গাড়ি রয়েছে।

পাওয়ার পরিবারের বাড়িতে মোট ১০টি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ঘর মহারাষ্ট্রে এবং ৪টি ঘর তেলঙ্গানায় পড়ে। পাশাপাশি বাড়ির রান্নাঘর পড়ছে তেলঙ্গানায় এবং একটি শোয়ার ঘর ও হল পড়ছে মহারাষ্ট্রে। এমন অদ্ভুত ভাবে একইসঙ্গে দুই রাজ্যে বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বসবাস করছে পাওয়ার পরিবার।

bizarre house

প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালে পাওয়ার পরিবারের জমি দুই রাজ্যে ভাগ হয়। সেই সময় মহারাষ্ট্র ও তেলঙ্গানার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবাদের সমাধান হয়। এর ফলে তাঁদের বাড়িও দুই রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মহারাজাগুড়া গ্রামের বাসিন্দারা আইনত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কিন্তু তেলঙ্গানা সরকার ক্রমাগত বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে তাঁদের সে রাজ্যে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।  


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর