বিজেপি নেতার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাঠি তৃণমূল কর্মীর! সামান্য জলের কল নিয়ে তুঙ্গে অশান্তি বাঁশবেড়িয়ায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামান্য জলের কল নিয়ে রোজকার ঝগড়া হঠাৎই রাজনৈতিক মোড় নিলো। সংবাদ সূত্রে খবর, বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে কল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ওই অঞ্চলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডয়ের বিজেপির বুথ সভাপতি জগন্নাথ দাসের বাড়ির পাশে লাগানো একটি জলের কল নিয়ে মাঝে মাঝেই ঝগড়া লাগতো পাশের বাড়ির তৃণমূল কর্মী রাখাল দাসের।

যদিও এই নিত্যদিনের অশান্তি থাকলেও সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই জগন্নাথ বাবুর স্ত্রীর গায়ে রাখাল দাস জল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি আরোও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লেগে যায় দুই পরিবারের মধ্যে চরম অশান্তি। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ভীষণ রেগে যান জগন্নাথ বাবু। এরপর রাখাল দাস তাঁর দলবল নিয়ে এসে বুথ সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের ছেলেরা হঠাৎ তাঁকে ধরে মারতে শুরু করে। এমনকী তাঁর বৃদ্ধ বাবাকেও ড্রেনে ফেলে দেন, তাঁর মাথা ফেটে গেছে। এমনই রাগ তাঁদের যে তাঁরা বাড়ির মেয়ে, বৌদের ওপরেও চড়াও হয়। জগন্নাথ বাবুর আরও দাবি এই যে, তাঁর বাড়িতে তাঁর অন্তসত্ত্বা মেয়ে ছিলেন। যিনি সাড়ে পাঁচ মাসের গর্ভবতী। তাঁরা তাঁর পেটেও লাথি মারেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন যে তিনি এই দুই পরিবারের ঝগড়া অশান্তি নিয়ে বরাবরই জ্ঞাত কিন্তু তৃণমূলের এই হামলায় তিনি হতবাক। একজন গর্ভবতী মেয়েকেও তাঁরা ছাড়ে না। আজ তাঁরা তাঁদের অপরাধ এবং সহ্যর সব সীমা লঙ্ঘন করে গেছে। পুলিশের কাছে এই নিয়ে মামলা রুজু হয়েছে।

Banshberia

অঞ্চলের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি দাসও এই ঘটনাকে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলেছেন। তিনি আশাও করতে পারেননি সামান্য জলের কল নিয়ে দুই পরিবার তথা দলের মধ্যে এমন বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে। আপাতত, ওই বিজেপি নেতার বাবা এবং মেয়ে দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর