মুকুলকে টেক্কা দিতে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বাড়ালেন দিলীপ, ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্বরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসার সময় মুকুল রায় তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব সহ সদস্যদের বিজেপিতে যোগ কর নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ করেছিলেন৷ তাই দেড় বছর পর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং লোকসভা নির্বাচনের পরে সেই দল ভাঙা ও দল গড়ার খেলায় মেতে উঠেছিলেন তিনি৷ তাই তো একে একে অনুপম হাজরা সৌমিত্র খাঁ অর্জুন সিংহ ভারতী ঘোষদের মতো তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বদের বিজেপিতে নিয়ে এসেছেন৷ যা বিজেপির কাছে এক দারুণ অ্যাডভান্টেজ তৈরি হয়েছে৷ তবে মুকুল রায়ের এ ভাবে দল ভাঙানো বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ওপর খানিকটা হলেও চাপ বাড়িয়েছিল৷Mukul Roy and Dilip Ghosh

তাই মুকুল রায়কে বড়সড় দাঁও মারতে একেবারে মন্ত্রী লেভেল অবধি পৌঁছে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, তাই তো কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে যোগ দেওয়া করিয়েছেন৷ কিন্তু মুকুলের আনা সদস্যরা বিজেপিতে থাকলেও দিলীপের আনা এই দুই হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব দলে থেকেও না থাকার অবস্থা আর তার জেরেই মুখ পুড়েছে বিজেপি, তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন দিল্লির সর্বভারতীয় নেতৃত্বরা৷

যদিও একই দলের লোক কিন্তু দিলীপ বা মুকুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসেনি তাই তো মুকুল রায়কে টেক্কা দিতে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে জয়প্রকাশ মজুমদারের উদ্যোগে৷এরপর শোভন ও বৈশাখীকে দলে যোগদান করান। কিন্তু শোভন দলে যোগ দেওয়া থেকেই বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে আজ অবধি শোভনকে বিজেপির হয়ে যেমন সক্রিয়তা দেখাতে দেখা যায়নি, তারওপরে গোদের ওপর বিষফোড়া হয়েছে দেবশ্রীর দলে যোগদানের গুঞ্জন।

এরপর তো শোভন একেবারে বেপাত্তা। সেই যে যোগ দিয়েছেন তার পর তাঁরা কোথায় গেল, এমন প্রশ্নও উঠেছে। কোনো দলীয় অনুষ্ঠানেই দেখা যায়নি। আর এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঁফোঁটার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপি শিবিরে চাপানউতোর তৈরি হয়। তারপর নবান্নের তরফে শোভনের নিরাপত্তা ফেরানো নিয়ে কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির।


সম্পর্কিত খবর