বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য বিজেপিতে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন RSS প্রচারক সতীশ ধন্দ। বৃহস্পতিবারই তাঁকে বাংলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে নিয়োগ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও কবে তিনি বাংলায় নতুন কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত না মিললেও রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল সতীশের আগমনকে প্রাপ্তিযোগ বলেই মনে করছে।
বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক পদ এমনিতেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে আবার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)- এর পদ সর্বোচ্চ হওয়ার দরুন বরাবর এই পদ আরএসএস প্রচারকদের দখলেই থাকে। রাজ্যে এই মুহূর্তে অমিতাভ চক্রবর্তী সেই দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর সহকারী হিসাবে কিশোর বর্মণ নিযুক্ত হলেও পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার হাতে ত্রিপুরা বিজেপির গুরুদায়িত্ব সঁপে দেয়। সেই সময় থেকে অমিতাভ একাই সংগঠনের কাজ সামলেছেন। এ বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে সতীশ ধন্দ বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, কলকাতার পরিবর্তে আসানসোলকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
বিজেপির অন্দরমহলে সতীশকে সবাই হেভিওয়েট নেতা বলেই সমীহ করে চলেন। বাস্তবিক অর্থে, আড়ালে থাকলেও চলতি বছরের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পিছনে সতীশের হাতযশকে অস্বীকার করতে পারবেন না বিরোধীরাও। গোয়ায় বিজেপির প্রধান মুখ এবং দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত সতীশ ছিলেন আরএসএস প্রচারক। কিন্তু পরে বিজেপি সতীশকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দিলেও ২০১৯ সালে আচমকা পর্রীকরের মৃত্যুর পরে ফের গোয়ায় ফিরে এসে গেরুয়া শিবিরের হাল ধরতে হয় সতীশকেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোয়ার জাতপাতের যে বৈষম্যমূলক বিভাজন রয়েছে সে বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ সতীশ। তিনিই গত বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনার মূল কারিগর বলেই জানা যায়। ভোটের ফল ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ সতীশ গোয়ায় ৪০টি আসনে বিজেপির ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের পিছনে বড় অবদান রেখেছেন। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মেইন টার্গেট করে সেই সতীশকেই বাংলায় পাঠাল গেরুয়া শিবির।