বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শান্তির শহর কলকাতা, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিকদের শহর কলকাতা। এখানে ওভাবে কথা বলা যায় না। এখানে কথা বলার আগে শাসক দলের অনুগামি, নেতা, মন্ত্রী অথবা স্নেহভাজন হতে হয়। শাসক ঘনিষ্ঠ না হলে, ওভাবে কথা বললে আপনাকে দাঙ্গাকারি, গণহত্যাকারী, বিভাজনকারী বলে আখ্যা দেওয়া হবে। এরপর আপনাকে গারদে ঢোকানো হবে। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে (Mamata Banerjee) এখন এমন ভাবেই আক্রমণ করা হচ্ছে।
বিজেপির দাবি, এরাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা মারো, মেরে হাত পা ভেঙে দাও বলা যেতে পারে। বিভিন্ন রকম পাচন এর দাওয়াই দেওয়া যেতে পারে। পুলিশকে বোমা মারা যেতে পারে। থানায় ঢুকে পুলিশ পেটানো যেতে পারে। পুলিশকে বোম মারো বলা যেতে পারে। কিন্তু গদ্দারকে গুলি মারো? না … না এই কথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে।
গত রবিবার অমিত শাহ এর বিজেপির সভায় দিল্লীর ধাঁচে ‘দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো **** কো” স্লোগান উঠেছিল। ওই স্লোগানের পর বিজেপির কর্মীদের চিহ্নিত করে ধরপাকর করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। খোদ মমতা ব্যানার্জী কাল নেতাজী ইন্ডোর থেকে বলেছেন, ওঁরা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছিল, আমি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কয়েকজনকে লকআপে ঢুকিয়েছি।
আপনাদের জানিয়ে দিই, এই ঘটনা এখনো পর্যন্ত দুজন গ্রেফতার হলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২৫ জন বিজেপিকে কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তাঁদেরও লকআপে ঢোকানোর প্ল্যান চলছে। এই ঘটনার পর বিজেপির নেতারা মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করতে পিছপা হননি। বিজেপির নেতাদের দাবি রাজ্য এখন পাকিস্তান হয়ে গেছে, তাই পাকিস্তান প্রেমীদের আর কিছু বলা যাবেনা। বললেই দিদিমনি জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ভরা মঞ্চে বলেছিলেন, পুলিশ আটকাতে এলে ওদের বোম মারুন। এমনকি উনি লোকসভা ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের সাফাই দিয়ে খোদ মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, ওঁর মাথায় অক্সিজেন কম ঢোকে তাই মাঝেসাঝে এমন বলে ফেলে। বিজেপির দাবি, তৃণমূল যা বলুক এই বাংলাস সব চলবে। কিন্তু বিজেপি দেশের গদ্দারদের বিরুদ্ধেই বলুক আর জয় শ্রী রামই বলুক সেটা সহ্যনিয় নয়! তাই আপনাকে জেলে যেতে হবে।