বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা, হাওড়ার নানান জায়গা। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের (Bangla Bandh) ডাক দেয় বিজেপি। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবকিছু সচল রাখার বার্তা দেওয়া হয়। গেরুয়া শিবিরের ডাকা বনধে আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের নানান জায়গা।
বিজেপির বাংলা বনধে (Bangla Bandh) ধুন্ধুমার!
আজ সকাল থেকেই রাজ্যের নানান প্রান্তে বনধের প্রভাব চোখে পড়েছে। বনগাঁ স্টেশন, হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল। এরপর বেলা যত গড়াতে থাকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ব্যারাকপুরে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচির নেতৃত্বে রেল অবরোধ। তাঁকে ধাওয়া করেন তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি।
- গ্রেফতার লকেট-রাহুল, সজলকে আটক করল পুলিশ
এদিকে আবার বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। লকেট, রাহুলের নেতৃত্বে কলকাতার বুকে অবরোধ শুরু করেন পদ্ম শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। এরপর শ্যামবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘এটা জনগণের রোষ। যত আটকানোর চেষ্টা করা হবে, মানুষ তত রাস্তায় নামবে’।
আরও পড়ুনঃ ঘুরে গেল খেলা! অবশেষে ‘হেভিওয়েট’ পেলেন জামিন, রেশন দুর্নীতি মামলায় বিরাট মোড়
অন্যদিকে কোলে মার্কেট এলাকায় বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সম্মুখসমরে নামেন তিনি। সেই উত্তেজনার আঁচ এসে পৌঁছয় পদ্ম নেতার বাড়ি অবধি। বেলা গড়াতেই বাড়ি থেকে সজলকে (Sajal Ghosh) লালবাজার তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সজলের স্ত্রী তানিয়া ঘোষ সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, কোনও কারণ না জানিয়েই তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন নিয়ে গেল পুলিশ? প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।
বনধ (Bangla Bandh) ঘিরে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়া। জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির কানে গুলি লেগেছে। তাঁকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে দেখতে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
একদিকে বাংলা বনধ (Bangla Bandh) ঘিরে যখন উত্তাল রাজ্য, তখন একদিনে তিন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একদিনে কালীঘাট, নবান্ন, লালবাজার অভিযানের হুঙ্কার দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।