বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসেও বাদ গেলো না রাজনৈতিক হানাহানি। তৃণমূল (All India Trinamool Congress) আর বিজেপির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক বিজেপির কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর আরামবাগ মহাকুমার খানাকুলে। সেখানে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হল এক বিজেপির কর্মীকে। মৃত বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামাণিক কে তৃণমূলের গুণ্ডারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি।
Sudarshan Pramanik, booth worker from Arambagh was brutally murdered while flag hoisting on Independence Day. Suspects are from the ruling party who are on a killing spree even on the Independence Day. We must take a pledge for a #MamataMuktoBengal today. pic.twitter.com/zSPvilpUwg
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) August 15, 2020
আহত কর্মীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির নেতা, কর্মীরা গোটা এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
শোনা যায় যে, শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল ৯ টা নাগাদ দৌলতচকে বিজেপি আর তৃণমূল দুই দলই পতাকা উত্তোলন করছিল। সেখানেই আচমকা তাঁদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এরপর এলাকায় বোমা বাজিও শুরু হয়ে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এই সংঘর্ষের মধ্যে বিজেপির কর্মী সুদর্শন প্রামাণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎই ওনাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় বিজেপির কর্মীরা। কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়েও কোন লাগ হয় না। সুরদর্শনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ি করে বিজেপি। রাজ্যের গেরুয়া শিবির তাঁদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি ট্যুইটও করেছে। কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন হল … অন্তত আজকের দিনে কি এই রাজনীতি আলদা করে রাখা যেত না?