বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। বহু বিতর্ক পেরিয়ে ৭ মার্চ থেকেই বিধানসভায় বসবে অধিবেশন। এর আগেই সোমবার একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ‘বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির’ একটি বৈঠকও হওয়ার কথা। কিন্তু দুটি বৈঠকেই বেঁকে বসেছে বিজেপি। এই দুই বৈঠকই বয়কটের ডাক দিল রাজ্যের গেরুয়া শিবির।
বিজেপির দাবী, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির কোনও কথাই শোনা হয় না বিধানসভায়। বিভিন্ন ইস্যুতেই তৈরি হয় মতবিরোধ। এছাড়াই বিধানসভা এবং পুরসভা ভোটে হারকে নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হবে, এই ভয়েও তটস্থ বিজেপি। তাই তাদের সিদ্ধান্ত, যেখানে সম্মান নেই, সেখানে এক টেবিলে চা খাওয়ার সৌজন্য অপ্রয়োজনীয়।
এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘মুকুল রায়কে জোর করে পিএসি চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমবারের সর্বদল এবং বিএ কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলাম। বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এখনও পিএসি’র চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে রেখে দিয়েছেন। তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা খেতে চাই না। যতদিন মুকুল ওই পদে থাকবেন, ততদিন আমরা বিধানসভার কার্যবিবরণী সংক্রান্ত বৈঠকে যাব না।’
তবে এর পিছনে অবশ্য অন্য কারণই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। বিধানসভার পর এবার পুরভোটেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। একুশের নির্বাচনের আগে যেখানে রাজ্যে লেগেই থাকত তাবড় শীর্ষ নেতাদের আনাগোনা সেখানে আজ ব্রাত্য রাজ্যের গেরুয়া শিবির। পুরভোটেও হালে পানি মেলেনি। এত প্রচার, এত বিরোধিতার পরও একটি পুরসভাও কব্জা করতে পারেনি বিজেপি। এর মধ্যেই বিজেপি নেতারা তীব্র ভাষায় আক্রমণ হেনে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এহেন অবস্থায় তৃণমূলের সামনে গেলে বল যে খুব একটা নিজেদের কোর্টে থাকবে না তা বুঝেই আগে ভাবে সরে যাচ্ছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।