বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের সাতদিনই কোনও না কোনও কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রায় প্রত্যেকদিন তাঁর মন্তব্য নিয়ে চর্চা হয় বাংলা জুড়ে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে নিত্যদিনই বিরোধীদের নিশানা করেন তিনি। সম্প্রতি সেই দিলীপকেই জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমে স্বমেজাজে দেখা গেল। চেনা ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন রাজ্য রাজনীতি সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের।
সাক্ষাৎকারের শেষ লগ্নে দিলীপকে সঞ্চালক বলেন, পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’এ দিতে হবে। এর মধ্যে যে কোনও একটি প্রশ্নের জবাব সরাসরি নাও দিতে পারেন তিনি। বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে প্রথম প্রশ্ন করা হয়, লোকসভা ভোটে তিনি যদি দলের রাজ্য সভাপতি থাকতেন তাহলে কি লড়াই জোরদার হতো? জবাবে দিলী বলেন, ‘হ্যাঁ’।
উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র তিনটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বদলে গিয়েছিল সম্পূর্ণ চিত্র। ৭৭টি আসনে পদ্ম ফুটিছিল সেবার। বিজেপির এই উল্কার গতিতে উত্থানের নেপথ্যে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা যে অনেকখানি ছিল, তা বহু লোকেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এবার দিলীপও মেনে নিলেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের দলের রাজ্য সভাপতি থাকলে লড়াইটা আরও জোরদার হতো।
আরও পড়ুনঃ রয়েছে ক্যাশমেমো! কলকাতায় কার কাছ থেকে গুলি কিনেছিলেন শাহজাহান? ঠিকানা ফাঁস করল CBI
দ্বিতীয় প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, বিধানসভা ভোটে কি দলবদলুদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে? জবাবে ‘না’ বলেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ। এরপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ভাবা হচ্ছে কিনা সেটা জিজ্ঞেস করা হয় তাঁকে। জবাবে দিলীপ বলেন, ‘আমার এটা বলার অধিকার নেই’।
অতীতে দিলীপ-শুভেন্দুর ‘ঠাণ্ডা লড়াই’ নিয়ে বহুল চর্চা হয়েছে। এবার দিলীপের উত্তরের পর ফের একবার তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এরপর বর্ধমান-দুর্গাপুরের পদ্ম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, মেদিনীপুর থেকে তাঁকে টিকিট না দিয়ে কি ভুল করেছে দল? জবাবে ‘না’ বলেন দিলীপ। র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডের পঞ্চম প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয় বিজেপির অন্দরে কি তাঁর কদর আগের তুলনায় কমেছে? এর জবাবেও ‘না’ বলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।