বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ দখলের স্বপ্ন নিয়ে অনেকদিন ধরেই মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের অনেককেই ইতিমধ্যে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে অমিত শাহের নির্দেশে কার্যত বন্ধ হয়েছে দলদবলের ঝাঁপ। দলের বাঘা বাঘা নেতাদেরই এবছর লড়াইয়ের ময়দানে নামাবে বিজেপি। আর নবান্ন দখল করতে অমিত শাহ নিজেই বাছাই করবেন অমিত শাহ। সঙ্ঘের নীতি মেনেই আর সঙ্ঘের ফর্মুলা অনুসরণ করে এবছরে বিজেপির তালিকা প্রকাশ পাবে।
তবে মুখে বললেও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া যে অনেক জটিল তা বলাই বাহুল্য। এছাড়াও আদি এবং নব্য বিজেপির মধ্যে ভারসম্যও বজায় রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আবেগ এবং অঙ্ক দুটোকেই মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও সঙ্ঘ পরিবারের অন্য সংগঠন গুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। সঙ্ঘ পরিবার আর বিজেপির মধ্যে তালমেল বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশকে।
এই শিবপ্রকাশের হাত ধরেই ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। সেবার ওনার দৌলতেই গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল অখিলেশ আর রাহুল গান্ধীর দ্বৈরথ। এছাড়াও বঙ্গে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পিছনেও ওনার অনেক বড় অবদান ছিল। উনিশে বাংলার গুরু দায়িত্বে ছিলেন শিবপ্রকাশ। আর সেবার বিজেপি বাংলা থেকে অভূতপূর্ব জয় হাসিল করে নেয়। বাংলায় ১৮ টি লোকসভা চলে যায় বিজেপির দখলে।
এছাড়াও রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। বাংলার এই চাণক্যের উপরেও অনেক ভরসা বিজেপির। ১৯-এ মুকুল রায়ের চাণক্য নীতি, দিলীপ ঘোষের প্রচার ঝড়ের পাশাপাশি শিবপ্রকাশের সংগঠন মজবুত করার দক্ষতা গেরুয়া শিবিরকে বড় জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও এদের উপরেই ভরসা করে আছেন অমিত শাহ। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী তো আছেনই।
একুশের নির্বাচন বিজেপির কোনও সম্ভাব্য প্রার্থীকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে যে, আমি কিছু জানিনা। দল যেটা ভালো মনে করবে সেটাই হবে।” বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য শিবপ্রকাশের কাছে নেতাদের বায়োডেটা জমা পড়ছে। এছাড়াও দিলীপ, মুকুল, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের হাতেও প্রার্থীদের বায়োডেটা জমা পড়ছে। তবে তা ঘুরে ফিরে যাচ্ছে সেই শিবপ্রকাশের হাতেই। এছাড়াও শিবপ্রকাশের হাতে আরও একটি তালিকা যাচ্ছে, যেটা সঙ্ঘ পরিবার আগেই ঠিক করে রেখেছে। সব শেষে অমিত শাহের সম্মতিতে এবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাবে।