বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রচারেই নজর কেড়েছিলেন। এবার পুরভোটে ছিনিয়ে নিলেন নাটকীয় জয়। মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন আসানসোল পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তারকনাথ ধীবর। আসানসোলে কার্যতই বিজেপির তুরুপের তাস ছিলেন তিনি।
এলাকার অত্যন্ত ভালো ছেলে বলেই পরিচিত তারকনাথ। টোটো চালিয়ে কোনো ভাবে সংসার চালান তিনি। নিজের মাসিক আয় মাত্র ৪ হাজার টাকা বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। যে টোটোটি তিনি চালান সেটিও ভাড়া নেওয়া। ভাড়া বাবদ রোজ মালিককে দিতে হয় ২৫০ টাকা।
এহেন তারকনাথ ধীবরকেই তুরুপের তাস বানিয়ে এলাকার অনুন্নয়নকেই হাতিয়ার করে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে নামে বিজেপি। সেই ঝুঁকির ফলও মিলল হাতে নাতেই। আসানসোলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাত্র ২ টি আসন লাভ করেছে বিজেপি। যার মধ্যে একটি এই ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড।
জয়ের মতই তারকনাথের ভোটের প্রচারও নজর কেড়েছিল সবার। সারাদিন টোটো নিয়ে বাড়িবাড়ি ঘুরেই প্রচার সারতেন তিনি। এলাকার ‘ঘরের ছেলে’ হওয়ায় মানুষের মন জয় করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি তাঁর। শুরু থেকেই পুরদমে পেয়েছেন এলাকাবাসীর সমর্থন। তাঁর হয়ে একাধিকবার প্রচার করেছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও। দরিদ্র চন্দনাকে একুশের বিধানসভায় প্রার্থী করেও হাতেনাতেই ফল পায় বিজেপি। সেই চন্দনাই মাঠে নামেন তারকনাথের হয়ে প্রচার করতে। মানুষের মন জয় করা সহজ হলেও সহজ ছিল না কাউন্সিলরের চেয়ার দখল। তৃণমূল প্রার্থীর থেকেই মাত্র ৫টি ভোট বেশি পেয়ে বেনজির ভাবে জয়ী হন তারকনাথ ধীবর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ত্যাগের পরে বাবুলেরই পুরোনো এলাকায় তাঁরই গাওয়া মমতা বিরোধী গান চালিয়ে প্রচার সেরে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিজেপি নেতা। তবে একজন দিন আনা দিন খাওয়া টোটো চালক থেকে এলাকার কাউন্সিলর, তারকনাথের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পকে বুকে নিয়েই আপাতত দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী।