বাংলাহান্ট ডেস্ক : মা কালী আদলে তৈরি একটি তথ্যচিত্রের বিতর্কিত পোস্টার। সেই পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রীর মুখে সিগারেট। এমন পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের বিষয়টি উঠে আসে। ইতিমধ্যেই সেই কালী বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যকে ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। শাসক দলের নেত্রী হিসেবে মহুয়া মৈত্রের নাম জড়িয়ে পড়তেই আসলে নেমে পড়েছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরবেলায় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা ‘জয় মা কালী’, ‘জয় শিব শম্ভু’ ধ্বনি তুলে মিছিল করে বউবাজার থানায় গিয়ে ৫৬ টি অভিযোগপত্র জমা করেছেন। এর পাশাপাশি, আগামী তিনদিনের মধ্যে তৃণমূল সংসদের বিরুদ্ধে পুলিশকে যথ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবীও তুলেছেন তারা। বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পুলিশ বিকেলে ‘কমপ্লেন নম্বর’ দেবে বলেছে। আমরা তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। আশা করি, পুলিশ কাজ করবে। নইলে আন্দোলন করতে হবে আমাদের।’’
অভিযোগপত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় যে, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকার পরেও কৃষ্ণনগরের সাংসদ ‘মা কালী’ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানে ইচ্ছাকৃত ভাবেই মা কালীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে, মহুয়া মৈত্রের এই ধরনের মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এর পাশাপাশি ওই অভিযোগপত্রে একথাও লেখা হয়েছে, বাংলা জুড়ে ধর্মীয় হিংসার কারণে জনগণের সম্পত্তি নষ্ট হলেও পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আর এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্যের জেরে হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।
যদিও তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে দল আপাতত দূরত্ব রচনা করলেও ভবিষ্যতে পোস্টারকে কেন্দ্র করে এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় তা কেবল সময়ই বলবে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার