বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজনীতিতে যে সবই সম্ভব তার প্রমাণ মিলল আরও একবার৷ বিজেপি এবং কংগ্রেসের জোটবদ্ধ সরকার এবার রাজ্য শাসন করতে চলেছে মেঘালয়ে। কংগ্রেস নেত্রী লিংডোহোর নেতৃত্বের সে রাজ্যের ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক, কনরাড সাংমার ন্যাশানাল পিপিলস পার্টির সঙ্গে জোট করতে চলেছেন। এই জোটে অংশীদার বিজেপিও।
ভারতের রাজনীতিতে বর্তমানে কার্যতই অহি-নকুল রসায়ন শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের। দুই তরফের নেতাদের রাজনৈতিক কাদাছোঁড়াছুঁড়িতে হুলুস্থুল লেগেই থাকে দেশে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে সম্ভব হল এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের জোটও। এই প্রসঙ্গে মেঘালয়ের কংগ্রেস নেত্রী লিংডোহ বলেন, ‘কংগ্রেস নেতারা সাংমার মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে (MDA) যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেসের পাঁচজন বিধায়কই সাংমার সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে সমর্থনের চিঠি পেশ করেন।’ কংগ্রেস আইনসভা পার্টির এই নেত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘ আমরা সরকারকে শক্তিশালী করতে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে সমর্থন দিয়ে যোগদান করেছি। কংগ্রেস আইনসভা পার্টির সদস্যরাও সমর্থন জানিয়ে সাক্ষর করেছেন চিঠিতে।’
লিংডোহকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমরা একে অপরের স্বার্থ রক্ষা করছি। আমাদের সবারই উদ্দ্যেশ্য নিজেদের এলাকার জন্য ন্যায়বিচার এবং উপযুক্ত পরিষেবা পাওয়া। আমরা এমডিএ সরকারকে সমর্থন করছি যাতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রাজ্যের এবং দেশের নাগরিকদের কাজে লাগে। আমরা পাঁচজন বিধায়কই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি সিএলপির সিদ্ধান্ত। আমরা এই জনগনের প্রতিনিধিরা আশা করছি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন।’
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে ২০১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনে ২১ টি আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। ন্যাশানাল পিপিলস পার্টি বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন করে সরকার গঠনের ক্ষমতা কেড়েছিল কংগ্রেসের থেকে। কিন্তু তেইশের বিধানসভার আগে সে রাজ্যে ক্ষমতা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে। এরপরই মেঘালয়ের রাজনীতিতে কাছাকাছি আসে কংগ্রেস এবং সাংমার ন্যাশানাল পিপিলস পার্টি। এবার সেই ঘনিষ্ঠতাকে আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপির অংশীদারত্বেই জোট করতে চলেছে তারা।