বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬০০০ চাকরি বাতিল কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশের কথা ছিল। তবে শেষ অবধি তা না হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। এসএসসি ভবনের (Acharya Sadan) সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতভর সেখানেই ধর্না, অবস্থান করেন প্রতিবাদকারীরা। এই আবহে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। চাকরিহারাদের এই আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জয়-টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিলেন সজল (Sajal Ghosh)
চলতি মাসের শুরুতেই ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের এই রায়ের ফলে চাকরিহারা হয়ে পড়েন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ না হওয়ায় প্রত্যেকের চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পর যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার, ২১ এপ্রিল সেই তালিকা প্রকাশ হতে পারে বলে আশ্বাস মেলে। যদিও শেষ অবধি তেমনটা হয়নি।
গতকাল তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এসএসসি কাণ্ডে চাকরিহারারা। আচার্য সদনের বাইরেই রাতভর অবস্থান করেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়ান বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষ। জলের বন্দোবস্ত করে দেন তিনি। সেই সঙ্গেই জানান, বায়ো টয়লেটও কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সজল বলেন, ‘একটু পরেই বায়ো টয়লেট এসে যাবে। তবে আমি অনুরোধ করব, আপাতত যেন শুধু মহিলারা সেটা ব্যবহার করেন। আর আমি নিজে দূরে সরে রয়েছি, যাতে এর গায়ে রাজনীতির রঙ না লাগে’।
আরও পড়ুনঃ যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ হয়নি! মধ্যরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বড় ঘোষণা SSC-র
বিজেপি নেতা জানান, শুধুমাত্র চাকরিহারা নন, পুলিশের জন্যও কিছু জল এনেছেন তিনি। কটাক্ষের সুরে সজল বলেন, ‘পুলিশদের জন্যেও আমি কিছু জল এনেছি। কারণ তাঁরা ডিএ পায় না, জল পায় না, কীভাবে চলবে? লাঠি মারবে কেমন করে?’
এদিন চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দেন পদ্ম কাউন্সিলর। সজল বলেন, ‘বাংলার সমস্ত মানুষ যেভাবে দলমত নির্বিশেষে অভয়ার আন্দোলনে পাশে ছিল, এই আন্দোলনেও রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে থাকবে। আমি রাজনীতি করি, কিন্তু তার মানে এই নয় আমি বাংলার মানুষ না। আমি বাংলারই মানুষ’।
এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তোপ দেগে সজল বলেন, ‘বায়ো টয়লেট আসতে ঘণ্টা দুয়েক লাগবে। তবে সেটা যেন আপাতত দয়া করে শুধু মহিলারাই ব্যবহার করেন। বাকিরা এসএসসি ভবনের সামনে গিয়ে করে দেবেন। ওটাকেই টয়লেট বানিয়ে ছাড়ুন’। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘এসএসসি ভবন কোন কাজে লেগেছে? বাংলার মানুষের কোন কাজে লেগেছে? ওটাকে বায়ো টয়লেট বানিয়ে দেওয়াই উচিত!’