বাংলাহান্ট ডেস্ক : নন্দকুমার মডেলের আতঙ্ক এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) মহিষাদলে। সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়ছে বাম (CPM) এবং বিজেপির (BJP) জোট। দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বহরমপুর সমবায়ের নির্বাচনে তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দেয় বাম-বিজেপি জোট। দু’পক্ষের তৈরি ‘পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ ৬৩টি আসনের সবগুলিতেই হারিয়ে দেয় তৃণমূল প্রার্থীদের। এ বার সেই জোটের ছায়া মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচনে।
আগামী ২০ নভেম্বর রাধাকৃষ্ণ সমবায়ের নির্বাচন। তৃণমূল পরিচালিত এই সমবায়ে রয়েছে মোট ৭৬টি আসন। যেখানে সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তবে ‘সংযুক্ত কৃষক মোর্চা’ গড়ে ৬২টি আসনে বিজেপি এবং ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। ১টি আসনে বিরোধীদের কোনও প্রার্থী না থাকায় সেই আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে। বাকি ৭৫টি আসনে ভোটের ফলে নন্দকুমারের ঝলক দেখা যাবে কি না তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
জোট নিয়ে রাখঢাক নেই বাম এবং বিজেপি, কোনও শিবিরেরই। ইটামগরা-২ অঞ্চলের বিজেপির আহ্বায়ক রামকৃষ্ণ দাস দাবি করেন, ‘এই সমবায়টাকে আমরা বাঁচানোর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করছি। তৃণমূলের আমলে গত কয়েক বছরে এখানে নানা দুর্নীতি, স্বজনপোষণ হয়েছে। বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে। সারের দোকান, রেশনের দোকানে লোকসান দেখানো হচ্ছে।’ রামকৃষ্ণবাবু মনে করেন, ‘আমাদের লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই হিসাবে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের জোট গড়েছি আমরা।’
জোটের আর এক শরিক সিপিআই-এর ইটামগরা-২ আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সুধাংশু বারিক বলেন, ‘তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে এই সমবায়ে ঢুকেছিল। সেখানে নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। ওরা কখনওই মানুষের স্বার্থে কাজ করেনি। তাই এ বার তৃণমূল বিরোধী সমস্ত মানুষ একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছি। যে কোনও মূল্যে তৃণমূলকে এই সমবায় থেকে উৎখাত করাই আমাদের লক্ষ্য।’