বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইডির (ED) বহুদিনের আর্জিতে সায় দিয়ে গতকালই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) রাজধানী নিয়ে গিয়ে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে দিল্লির বিশেষ আদালত। এরপরই শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি। সূত্র মাফিক আজই কেষ্টকে নিয়ে দিল্লির (Delhi) উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে হঠাৎই নাটকীয় মোড় নিল অনুব্রত মামলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এক তৃণমূল কর্মীকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছেন অনুব্রত, এই মর্মে সোমবার দুবরাজপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই মঙ্গলবার অনুব্রতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় এক বছর আগে হওয়া অপরাধে একদিন আগে সোমবার ফের নতুন করে দুবরাজপুর থানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। সূত্রের খবর, সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই কেষ্টকে দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই এদিন আদালতের রায় অনুসারে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। জানা গিয়েছে, আপাতত ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হতে পারে কেষ্টকে। অর্থাৎ এখনই কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিতে পারবেন না তদণ্ডকারী আধিকারিকরা। অপেক্ষা করতে হতে পারে আরও বেশ কিছুদিন।
অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে অনুব্রতকে বিধঁতে দেরি করেনি রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এরা দুর্নীতির এতটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, যেকোনও তদন্তকেই ভয় পাচ্ছে। যে চেষ্টা এরা করছে, তা যেকোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে হাস্যকর বলে মনে হবে। যে মামলায় তাঁকে তোলা হচ্ছে, তার কোনও গুরুত্ব আছে কি না, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে কি না এসব তো বিচার করতে হবে।”
হেভিওয়েট বাম নেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “যেখানে পুলিশের কাজ অপরাধীকে ধরা, রাজ্য পুলিশ অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনুব্রতকে যাতে ইডি দিল্লি না নিয়ে যেতে পারে তার জন্য এসব। অনুব্রত নাকি তৃণমূলের নেতার গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন এক বছর আগে। সেই কেস এখন সামনে এনে এসব বলছে।”
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে অনুব্রতকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এত বোকা বোকা খেলা হাসি পায়। এতো খুনের মামলা বা গাঁজা মামলা দিলে তাও আটকাতে পারত। এই কেসে তো কোর্ট জামিন দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। কত ভয় একটা সরকারের সেটাই দেখছি। অনুব্রত মুখ খুললে শুধু অনুব্রত নয়, তার মেন্টররাও জেলে যাবে। তাই নিজেদের বাঁচাতে একটা বোকা বোকা প্রয়াস।”