‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাই’, হাঁসখালি কাণ্ডে রিপোর্ট ধরালো বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় সত্য উদঘাটনে নেমেছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। কিন্তু বহু খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি শাসকদলের বিরুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত অভিযোগ। অভিযুক্ত শাসকদল ঘনিষ্ঠ হলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে সেই অর্থে কোনও রকম গলদ খুঁজে না পেয়ে হাঁসখালির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা লিখল ওই টিম।

রিপোর্টটিতে বরং হাঁসখালির প্রসঙ্গ খানিক এড়িয়েই গিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের উপর জোর দেওয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রিপোর্টে লেখেন, ‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাড়ছে অপরাধ। তাই ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা কার্যকরী করা অত্যন্ত প্রয়োজন।’ যদিও কোনও কিছুরই কোনও কারণ বা ব্যাখ্যা, কোনওটিই উল্লেখ করা হয়নি।

রিপোর্টে আরও লেখা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে না। কারণ, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্তদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্ত জেলের ভিতর থেকেও সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত করতে পারে।’

বিষয়টি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিজেপি বিধায়ক তথা ওই টিমের সদস্য শ্রীরূপা মিত্র। তিনি বলেন, ‘এটা মানুষের আওয়াজ। মানুষ চাইছে ৩৫৫ হোক, ৩৫৬ হোক জারি করা হোক। মানুষ তো ধারা বোঝে না, মানুষ শান্তি চায়।’ একই দাবি দিলীপ ঘোষের গলাতেও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, ‘৩৫৫–৩৫৬ ধারার কথা শুধু আমরা বলছি না, সব বিরোধী দল বলছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে এছাড়া কোনও পথ নেই।’ বিষয়টিকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে যে তুঙ্গে চাপান উতোর বা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।

ad

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর