বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে ‘দিল্লি দখলের লড়াই’। শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট রয়েছে আগামীকাল। তার আগে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে উঠেছে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
ভোটের আবহে সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে একটি সভা করেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। সেখানে রীতিমতো ঝাঁঝালো ভঙ্গিতে বিরোধীদের নিশানা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও টার্গেট করতে দেখা যায় তাঁকে। এবার সেই সভাতেই মমতার বলা তিনটি বাক্য নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)। ওই বাক্যগুলির প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে কমিশনকে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বলেন, তাঁর গাড়ি এগিয়ে আসছে দেখে কয়েকজন বিজেপি কর্মী ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন। কমিশনকে দেওয়া বিজেপির চিঠি অনুসারে, এরপরেই ওই কর্মীদের সম্বন্ধে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘এত বড় সাহস, আমার গাড়ি দেখে চোর চোর বলছে! যদি সুযোগ থাকতো আমি জিভ টেনে নিতাম। ভোট বলে কিছু বলিনি’।
আরও পড়ুনঃ পরনে বোরখা! ED অফিস থেকে বেরিয়েই দে দৌড়… কে এই মহিলা? পরিচয় সামনে আসতেই শোরগোল
জলপাইগুড়ির সভায় মমতার বলা তিনটি বাক্য কমিশনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘তৃণমূল নেত্রী স্পষ্টতই নিজের মনের কথা বলেছেন। এখন ভোট তাই নিজেকে সংযত করছেন। সেটা উনি না বললেও পরিষ্কার। ভোট শেষ হলেই উনি ফের হিংসা শুরু করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য হিংসাত্মক এবং ঘৃণাসূচক। আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে ভোটের আগে এই ধরণের মন্তব্য করা যায় না’।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া বিজেপির চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই মমতার এই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পদ্ম শিবির।
জলপাইগুড়ির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করেও বেশ কিছু কথা বলেছিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমার গাড়ি দেখে ওঁরা চোর বলছে। কারোর পিতৃদেবের টাকায় আমি এক কাপ চা-ও খাইনি। আমি চাইলে লাখ লাখ টাকা মাইনে, পেনশন নিতে পারতাম। নিই না, কারণ আমার দরকার নেই। আমার মানুষ দরকার, আমার কাছে মানুষই সব। কী সাহস ওঁদের! আমাকে চোর বলছে! চাইলে ওঁদের জিভ টেনে নিতে পারতাম। তবে ভোট বলে কিছু বলিনি। তা ছাড়া আমি নরেন্দ্র মোদী কিংবা অমিত শাহ নউ। ওনারা বলেন, ‘বেছে বেছে জেলে পাঠাব। উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দেব’। সেসব আমি বলব না। জিভ টেনে নিতে পারলেও সেটা করব না’। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েও আপত্তি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।