দেড় বছর আগে দল থেকে বেরোনোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ঘনিষ্ঠ সহচর মুকুল রায় দল গড়ার মতো দল ভাঙার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই হুঁশিয়ারি যে কতটা সত্যিই হতে পারে তা ঠারে ঠারে টের পেয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। প্রথমে শিষ্যদের দিয়ে শুরু করে তারপর নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলর সকলেই মুকুলের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে পা দিয়েছেন। কয়েকমাস আগে পুরসভাও দখলে গিয়েছিল বিজেপির। যদিও পরে শাসক শিবিরের পুনর্দখলে চলে এসেছে। কিন্তু এবার আরও বড় ধাক্কা খেতে চলেছে শাসক শিবির। তৃণমূলের হাতছাড়া হতে চলেছে আরও একটি পুরসভা। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভা এবার বিজেপির (Bharatiya Janata Party) দখলে যেতে চলেছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাই এবার সেই পুরসভাও বিজেপির দখলে আসতে পারে বলে আশাবাদী গেরুয়া বাহিনী।
কিন্তু এতেও দমতে না রাজ তৃণমূল। কারণ, এর আগে কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। একে একে কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ফলে পুরসভা বিজেপির দখলে চলে গিয়েছিল। কিন্তু পরে সেই কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরে আসায় পুরসভা পুণর্দখল হয়েছিল তৃণমূলের। তবে রামজীবনপুর পুরসভা যদি হাতছাড়া হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কিন্তু কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়তে পারে তৃণমূল। কারণ, এই মুহুর্তে সেই পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে বিজেপি। তাই পুরসভা হাতছাড়াটা যেকোনো মুহুর্তেই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে রাজ্যে যেভাবে দলবদল আবার দলে ফিরে আসার পালা চলছে তাতে বিধানসভা নির্বাচন অবধি কে কোন দলে থাকতে পারেন তা বলাটা কার্যত অসম্ভব।