বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মুসলিম ভোটের ক্ষেত্রে সব সময়ই মেরুকরণ কাজ করেছে বিজেপির। রাজ্যের হিন্দু ভোট গেরুয়া শিবিরের ফরে থাকার কারণে মুসলিম ভোটকেই অস্ত্র করতে চেয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু ফলাফল আসার পর দেখা গেল যোগীর উপরেই ভরসা রেখেছে উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটারদের একটি বড় অংশ।
অধিকাংশ সংখ্যালঘু এলাকাতেই ভালো ফল করেছে বিজেপি। এর থেকে একথা স্পষ্ট যে মুসলিম পুরুষরা সমাজবাদী পার্টিতে ভরসা রাখলেও বিজেপির হাতই ধরেছেন মুসলিম মহিলারা। এই প্রসঙ্গে দলের দাবি, তিন তালাক বিরোধী আইন, করোনার সময় খাদ্যশস্য বিতরণ প্রভৃতি বিষয়গুলির ফলে যোগীর হাতেই রাজ্য ছাড়তে নিরাপদ বোধ করেছেন মুসলমান মহিলারা।
রাজ্যে একটিও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। কিন্তু দেখা গেছে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা গুলির অধিকাংশতেই জিতেছে দলের হিন্দু প্রার্থীরা। মুজফফরনগর এবং শামলি এই দুই কেন্দ্রে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ৪১%। কিন্তু তাতেই আটকানো যায়নি বিজেপিকে। দুই কেন্দ্রেই ৫১% এর বেশি ভোট পেয়ে জয়ী গেরুয়া শিবির। ওই দুই কেন্দ্রের যাদব ভোটাররা যে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, তা কার্যতই সর্বজন বিদিত। ফলে এই ৫১% ভোটের একটা বড় অংশ যে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক থেকেই এসেছে তা বলাই বাহুল্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের মুসলিম ভোটকেই ঢাল করে যোগীর সঙ্গে যুদ্ধে নামতে চেয়েছিলেন অখিলেশ। কিন্তু কাজ পরিকল্পনা মাফিক হল না। মুসলিম মহিলাদের একটা বিরাট অংশ যোগী তথা মোদীর উপরেই ভরসা রেখেছেন। পুরুষরা দৃঢ় ভাবে সপার পাশে থাকলেও মহিলারা মুখ বুজেই পদ্মের বোতাম টিপেছেন সে রাজ্য। এর একটি বিরাট কারণ হিসেবে বারবারই তিন তালাক অবলুপ্তির কথাই উঠে আসছে। এই বিলের ফলে নিরাপত্তাহীনতা অনেক খানি কমেছে মুসলিম মহিলাদের। আর সেই প্রভাবই দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট বাক্সে।