বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের সময় থেকেই উত্তপ্ত ছিল বীরভূমের নানুর (nanur)। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়াগ থেকে অশান্তির খবর সামনে এসেছিল। সেই রেশ অব্যাহত ছিল নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরও। ৩ রা মে রানিনগর গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম ২ তৃণমূল কর্মীর মধ্যে একজন কলকাতার হাসপাতালে বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
ফলাফল প্রকাশের পর গত ৩ রা মে রানিনগর গ্রামে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অভিযোগ দুপক্ষের মধ্যেকার সংঘর্ষে গুরুতর ভাবে আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী। তার মধ্যেই একজন ছিলেন শ্যামল দাস। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় গতকাল রাতেই মারা যান তৃণমূল কর্মী শ্যামল দাস।
এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে হেরে গিয়েই তাঁদের কর্মীর উপর হামলা করেছিল বিজেপির কর্মীরা। সেই কারণেই তাঁদের কর্মীরা জখম হয়েছেন।
গেরুয়া শিবিরের দিকে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহা জানিয়েছেন, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রানিনগর গ্রাম লুঠ করতে এসেছিল তৃণমূল বাহিনী। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আর সেখানেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় দোষীদের ছেড়ে দিয়ে উল্টে নির্দোষ বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বীরভূমে পৌঁছেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। দফায় দফায় হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নানুর বিধানসভা এলাকা পরিদর্শন করে সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়।