বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাংলায় প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি (bjp) শিবির। তারকা প্রচারক থেকে দিল্লীর শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব, এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- প্রচারে অগণিত জনসমাবেশ টানতে পারলেও, বাংলায় গেরুয়া আভা ছড়াতে অসমর্থ হয়। ৭৭ -এই আটকে যায়, ২০০-র বেশি আসন দখলের স্বপ্ন।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বাংলায় ছড়িয়েছে হিংসার রাজনীতি। বিজেপির দাবী, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করে তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে এখনও ঘর ছাড়া প্রায় হাজার হাজার বিজেপি কর্মী। তবে এরই মধ্যে বেশিরভাগ দলবদলুদের গলায় শোনা যাচ্ছে উল্টো সুর। বিজেপি ছেড়ে আবারও ফিরতে চাইছে পুরনো ঠিকানায়।
এসবের মধ্যে এবার ভোট পরবর্তী স্ট্রাটেজি সাজাতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে বিজেপি শিবির। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য দলের ভাঙ্গন রোধ করা থেকে শুরু করে, নতুন করে দল সাজানো হতে পারে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। আবার নির্বাচনে হারের পর যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে অনেক বিজেপি নেতৃত্বরাই। তাঁদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কিভাবে সাজালে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লড়াইয়ের ময়দানে- সব নিয়েই ৮ ই জুন বৈঠকে বসতে চলছে পদ্ম শিবির।
সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনে প্রত্যাশামাফিক ফল করতে না পারায় কিছু রদবদল করা হতে পারে বিজেপির অন্দরে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হতে পারে নতুন মুখ। তবে লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে এবং দলের ভাঙ্গন রুখতেই মূলত এই বৈঠক বিজেপির, এমনটা খবর।