বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাসকদলের কোনো নেতা-মন্ত্রীর সাথে নয়, এবার নিজেদের মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন বঙ্গ বিজেপির দুই সাংসদ (MP) লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও দেবশ্রী চৌধুরী (Debasree Chaudhuri)। প্রসঙ্গত, বিজেপির রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি একদিন আগেও শোভাযাত্রা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলীর রিষড়া অঞ্চল। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
মঙ্গলবার সামগ্রিক ভাবে সমস্ত গন্ডগোলের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে হামলা, অশান্তির ঘটনার তদন্তের দাবি জানানোর উদ্দেশ্যে বিজেপির সদর দফতর থেকে তড়িঘড়ি এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিনের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু এবং জগন্নাথ সরকার। জাতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছ রাজ্যের এই নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র প্রেম শুক্ল। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক শেষ হতে না হতেই চুলোচুলিতে জড়িয়ে পরে বঙ্গ বিজেপির জনপ্রিয় দুই নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, দেখা যায় এ দিন ৩৭ মিনিট ধরে চলা সাংবাদিক বৈঠকে চার বিজেপি সাংসদ নিজেদের এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল-অশান্তির কথা তুলে ধরলেও বৈঠকের লাইমলাইটে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কারণ অধিকাংশ বক্তব্যই তাকে রাখতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনিই।
এরপর সাংবাদিক বৈঠক শেষ হতে না হতেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবশ্রী। রাগে ক্ষোভে চেয়ার ছেড়ে উঠে সোজা কথা বলেন প্রেম শুক্লর সঙ্গে। এরপর মঞ্চেই লকেটের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলার হিংসা নিয়ে কথা বলার জন্য এই সাংবাদিক বৈঠকের গোটা ব্যবস্থাই আমি করেছিলাম। কিন্তু তুমি হুগলি নিয়ে কথা বলে গেলে। আমি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।’’ শুধু তাই নয়, এরপর লকেটকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের নোংরা রাজনীতি কোরো না।’’
লকেট অবশ্য কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও দেবশ্রীকে বলেন, ‘ঘরে গিয়ে যা বলার বলুন’। পরে জানা যায় নিজের ঘনিষ্ঠ শিবিরে লকেট বলেছেন, তাকেও অমিত মালব্য সকালে সাংবাদিক বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেকারণেই তিনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। পাশাপাশি জানা যায় দল তরফে লকেটকেই প্রথম বক্তা করার নির্দেশ দেওয়া ছিল। পরে এদিনের বিতর্ক প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে লকেট বলেন, ‘‘কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক অনভিপ্রেত।’’