বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ে, ২০০-র বেশি আসন দখল করে বাংলা (west bengal) জয়ের স্বপ্ন কার্যত ধূলিস্মাত হয়ে যায় বিজেপি (bjp) শিবিরের। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর গেরুয়া শিবিরের দৌরাত্ম ৭৭-ই থেমে যায়। তবে এরই মধ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিপরীত মুখ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে এগোচ্ছে নেটদুনিয়া।
অপরদিকে, নির্বাচন পরবর্তীতে বাংলায় জ্বলে ওঠা হিংসার আগুনকে হাতিয়ার করে মমতা বিরোধী আওয়াজ তোলার লক্ষ্য নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেইমত ১৩টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ভুপেন্দ্র যাদবরা।
বিজেপির দাবি, নির্বাচন পরবর্তীতে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাঁদের মারধর করে, তাঁদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে সবুজ শিবিরের দুষ্কৃতীরা। এখনও প্রাণ ভয়ে বহু বিজেপির কর্মী সমর্থক ঘর ছাড়া রয়েছেন। সেইসময় বাংলার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যে এসে কিছু বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা আবহে সবকিছু স্থগিত হয়ে যায়।
তবে এবার মমতা বিরোধী আওয়াজ তুলে বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার এই হিংসার কথা ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি শিবির। এই কর্মসূচীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দেশ কে সাথ এক সংবাদ’। মোদী-নাড্ডার ছবি দেওয়া পোস্টারে শ্লোগান লেখা হয়েছে ‘বাংলা জ্বলছে, হিংসাই কি সমাধান?’
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর এবং আন্দামান ও নিকোবরের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাঞ্জাব, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ভুপেন্দ্র যাদব বৈঠক করেছেন ছত্তীসগঢ়, নাগাল্যান্ড ও অসমের সঙ্গে। অন্যদিকে গুজরাট এবং মেঘালয়ের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।