বাংলা হান্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারত দিনের পর দিন আরও প্রভাব বিস্তার করছে। জি২০ সম্মেলন হোক বা ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। ভারতই যেন নির্ণায়ক শক্তি। এরই সঙ্গে বিজয় রথ ছুটছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও (Narendra Modi)। কখনও তিনি সিওল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন, আবার কখনও নোবেলের দাবিদার বলে জানাচ্ছে খোদ নোবেল কমিটিই। তাঁর সঙ্গে গৌরবান্বিত হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিও। এবার বিজেপিকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হল মার্কিন সংবাদমাধ্যমও।
আমেরিকার জনপ্রিয় দৈনিক ‘দা ওয়াল স্ট্রিট’ লিখছে, বিজেপি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। শুধু বৃহত্তম নয়, বরং দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলও বিজেপি। ওই সংবাদমাধ্যমের লেখক ওয়াল্টার রাসেল মিড লেখেন, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতা দখল করে। ২০১৯ সালেও দাপট বজায় রেখেই নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়লাভ করে। ২০২৪ সালেও বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করছে এই সংবাদমাধ্যম।
২০২৪ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরই ভারত বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। ওয়াল্টার রাসেল মিড-এর মতে, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত বিজেপিই নেবে। ভারতে যদি বিজেপি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে চিনকে নিয়ন্ত্রণ করা আমেরিকার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
মিড আরও মনে করেন, ‘বিজেপির মধ্যে বিশ্বের সমস্ত রাজনৈতিক দলের ভালো গুণগুলি রয়েছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মতই বিজেপি চায় ভারতকে আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী করতে। এছাড়া, ঠুনকো মুসলিম ভাতৃত্ববোধ বা পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে উদারনৈতিক নীতিকে বর্জন করেছে বিজেপি। ইজরায়েলের লিকুড পার্টির মতই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বিজেপি তার অর্থনীতিকে ঠিক করে। যদিও তার মধ্যেও মিশে থাকে জনপ্রিয়তা ও মানবকল্যাণ।
মীড আরও বলেন, উত্তর পূর্ব ভারতের সাম্প্রতিক কালের নির্বাচনে বিজেপির বড় জয় পেয়েছে। এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ওই রাজ্যগুলিতে খ্রিস্টানরা অধিক সংখ্যায় রয়েছে। এছাড়া উত্তপ্রদেশেও মুসলিম অধিক সংখ্যায় থাকলেও বিজেপির প্রতিই রয়েছে। তাই একের পর এক নির্বাচনে দাপট দেখিয়ে জয়লাভ করবে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি।