বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় ছয় বছরের লড়াই, ঘাত-প্রতিঘাত শেষে রায়দান! আজ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) এক নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের পরীক্ষার গোটা প্যানেল বাতিল করেছে জাস্টিস দেবাংশু বসাক এবং জাস্টিস মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ওই বছর পরীক্ষা দেওয়া প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট পুনরায় মূল্যায়নের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার এই নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
সোমবার সকালে হাই কোর্টের রায়দানের পর বেলা ১২:০৫ নাগাদ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান। সেই পোস্টে এসএসসি দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে একহাত নেন অমিত। এই দুর্নীতি মামলাকে ‘সরকার স্পনসরড’ বৃহত্তম নিয়োগ দুর্নীতি বলেও অভিহিত করেন তিনি।
The Calcutta High Court’s judgment on the SSC recruitment scam in West Bengal is massive. Approx 25,735 jobs (Group C, Group D, Secondary and Senior Secondary) have been declared null and void.
It bares open the brazen corruption of Mamata Banerjee’s Govt. Over 51 crore rupees… pic.twitter.com/jk29KqGro8
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) April 22, 2024
অমিত লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট বিরাট রায় দিয়েছে। প্রায় ২৫,৭৩৫ জনের (গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক) চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নীতি সর্বসমক্ষে ফাঁস হয়ে গিয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের পাপের ফল ভুগতে হচ্ছে! SSC দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হতেই বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
বিজেপি নেতা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫১ কোটির বেশি নগদ এবং গয়না উদ্ধার করা হয়েছিল। জেলের কাগজপত্রে নিজের প্রাথমিক কন্ট্যাক্ট হিসেবে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা, তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পিসি-ভাইপো জুটির জীবন পাখি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন’।
দীর্ঘ পোস্টের শেষে অমিত লিখেছেন, ‘এর থেকে অনেক ছোট আকারের দুর্নীতি করে গ্রেফতার হয়েছেন বহু মুখ্যমন্ত্রী। এটা নিঃসন্দেহে সরকার স্পনসরড বৃহত্তম নিয়োগ দুর্নীতি। এর ফলে অগুনতি যুবক-যুবতীর জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে’।