বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাপমাত্রার পাশাপাশি ভোটের আবহে ঊর্ধ্বমুখী আক্রমণের পারদ। কখনও তৃণমূল বিজেপিকে নিশানা করছে, কখনও আবার বিজেপির টার্গেটে চলে আসছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার যেমন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের শাসক দলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
আজ দুপুর ১টা নাগাদ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন বিজেপি (BJP) নেতা। সেই ভিডিওয় বুথ কর্মী সম্মেলনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা রাখতে দেখা যাচ্ছে হুমায়ুন কবীরকে। সেই সম্মেলনে দাঁড়িয়েই ২ ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথী নদীতে বিজেপিকে বিসর্জন দেওয়ার কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে কাজীপাড়ায় মসজিদ ভাঙা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে (TMC MLA)। এবার সেই ভিডিও শেয়ার করে পাল্টা দিলেন অমিত।
At the booth workers sammelan at Shaktipur, TMC’s Bharatpur MLA Humayun Kabir said:
Quote
If I can't throw BJP into the Bhagirathi river within 2 hours, will leave politics. I will not let you guys stay in the Shaktipur (most Hindus in this area are refugees, who fled from… pic.twitter.com/EMRTFMg26T
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) May 2, 2024
হুমায়ুনের বক্তৃতার ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান লেখেন, ‘শক্তিপুরে বুথ ওয়ার্কার সম্মেলনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আমি যদি বিজেপিকে ভাগীরথী নদীতে না ফেলতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি তোমাদের শক্তিপুর এলাকায় থাকতে দেব না (এই এলাকার বেশিরভাগ হিন্দুরাই উদ্বাস্তু। ধর্মীয় উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখন ফের হুমকির মুখে পড়ছ’ন)’।
আরও পড়ুনঃ মাথায় বাজ! ঠিকভাবে কাজ না করলেই… ঘুম উড়ল রাজ্যের এই সরকারি কর্মীদের
হুমায়ুন কবীরকে উদ্ধৃত করে অমিত লেখেন, ‘যদি ভেবে থাকো, মুর্শিদাবাদ জেলায় শুধুমাত্র ৩০% বাসিন্দা (হিন্দুদের উল্লেখ করে) থাকে, তাহলে আমরা ৭০% (মুসলিম) আছি। কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙার ঘটনায় মুসলিম ভাইদের হাতের ওপর হাত দিয়ে বসে থাকবেন না। আমি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি করে দিচ্ছি’।
হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য তুলে ধরার পর অমিত লেখেন, ‘মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা হলেন সংখ্যালঘিষ্ঠ। মাত্র ২৮%। আর তাঁদের এসব কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ভাবুন যদি গোটা বাংলায় তাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কী হবে। পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি এখন আরও নীচে নেমে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের থেকেও খারাপ দশা বাংলার হিন্দুদের। এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস কি উনি দেখাবেন? যে সকল বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়ান, তাঁরা কি এবার একটাও শব্দ বলবেন?’