‘বাপ কেন, চোদ্দ পুরুষ তুলব!’ ফের স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ, চিৎকার করে আর কী বললেন মহিলাকে?

Last Updated:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃবঙ্গ রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ‘ব্যাকফুটে’ থাকার পর আবার যেন ‘স্বমহিমায় উত্থান’ হয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। এবার খড়গপুরের রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। সাংসদ থাকাকালীন তাঁর দেওয়া টাকায় তৈরি রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তেই এদিন দিলীপ ফিরলেন পুরনো মেজাজে। স্থানীয়রা মুখের ওপর প্রশ্ন করায় রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন তিনি। রীতিমতো ধমক দিলেন ‘বাপ’ তুলে।

ঠিক কী ঘটেছিল দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সাথে?

খড়গপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাংসদ থাকাকালীন সেই খাতের টাকায় তৈরি রাস্তা এদিন উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিযোগ সেই সময় এলাকার কিছু মানুষ নাকি গিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। বহুদিন পর বিজেপি নেতাকে দেখতে পেয়ে, স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ সটান প্রশ্ন করেন, ‘যখন রাস্তার সমস্যা ছিল তখন কোথায় ছিলেন?’

এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে এদিন মেজাজ হারান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এক বিক্ষোভকারী মহিলা তাঁকে সামনাসামনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বাপ তুলে কেন কথা বলছেন? আপনি এমপি হয়ে বাপ তুলে কথা বলতে পারেন?’ পাল্টা দিলীপ ঘোষের জবাব ছিল, ‘চোদ্দ পুরুষ তুলব’। বিক্ষোভকারী মহিলা প্রশ্ন করেন, ‘কেন কে অধিকার দিয়েছে আপনাকে?’ দিলীপ ঘোষ এবার উত্তর দেন, ‘প্রদীপকে বলো।’ তখন ওই মহিলা জানতে চান, ‘প্রদীপকে বলবো কেন?’

আরও পড়ুন: ফিরছেন শাহজাহান? আবারও ভাইরাল ‘হুমকি ফোনের’ অডিও

স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, বিজেপি নেতা (Dilip Ghosh) নাকি এদিন তাঁদের ‘খারাপ কথা’বলেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন এলাকার মানুষ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদে তাঁকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। বিক্ষোভকারী এক মহিলা জানান, ‘দিলীপ ঘোষকে ভদ্রভাবে জিজ্ঞাসা করেছি, হঠাৎ এই ওয়ার্ডে কেন? উনি বলছেন তোদের বাপ প্রদীপ সরকারকে জিজ্ঞাসা কর। গলা টিপে দেব। এগুলো কি কোনও সাংসদের কথাবার্তা? এতদিন কোথায় ছিলেন?’ ওই মহিলার প্রশ্ন, ‘উনি একজন এমপি হয়ে এমন কথা বলতে পারেন?’

প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন,’এরা হচ্ছে ঘেউ ঘেউ করবে। কোনও বিক্ষোভ নেই। আমি বলেছি, আমি টাকা দিয়েছি। আমি উদ্বোধন করতে আসব। এতদিন কেন এই রাস্তা হয়নি? হিম্মত নেই সেই প্রশ্ন করার। এরা সুবিধাভোগী। ৫০০ টাকা নিয়ে ঘেউ ঘেউ করে। আমি বলেছি, আমার বাপের টাকা। বলুক কার বাপের টাকা? দিলীপ ঘোষ বাপ তুলেই বলবে। যারা ঘেউ ঘেউ করবে তাদের বাপ তুলেই বলবে। কাজ করতে পারে না। কাজ করে উদ্বোধন করছি আবার ঘেউ ঘেউ করছে? হিম্মত হয় কী করে। ৫০০ টাকার চাকর, এরা কিছু করতে দেয় না। ঘেউ ঘেউ করে।’

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

X