‘সিনেমার রাজাবাবু, ছোটবেলার শখ পূরণ করছেন’, নতুন ‘আচার্য’-কে বেনজির আক্রমণ অনুপমের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচার্য পদে বসার বিষয়ে ঘোষণা করা হয় আর এই খবরটি সামনে আসতেই বর্তমানে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। বহদিন ধরেই রটছিলো জল্পনা আর এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, তা নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন এ বিষয়ে সরকারকে কটাক্ষ করে একটি টুইট পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।

টুইটে বিজেপি নেতার দাবি, “বর্তমানে মন্ত্রিসভাকে ব্যবহারের মাধ্যমে ছোটবেলার শখ পূরণ করে চলেছেন মমতা।” তবু শুধু তাই নয়, এদিন কেন্দ্র সরকারের কাছে ইউজিসি থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আসা ফান্ডিং নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে অনুরোধ জানান অনুপম হাজরা।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আচার্যের পদ থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত বহুদিন আগে থেকেই নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য। এ বিষয়ে একের পর এক ছক কষে চলেছিল তারা এবং সম্প্রতি সেই কৌশলকে বাস্তবে রূপায়িত করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বাংলা সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানো হবে। বিধানসভা এই সংক্রান্ত বিল আনবো আমরা।”

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিন অনুপম হাজরা বলেন, “বাংলায় এখন সব সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা বাংলা একাডেমি অ্যাওয়ার্ড পেতেও দেখছি, আবার আচার্য হতেও দেখা যাচ্ছে। আসলে এসবই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে করে চলেছেন উনি। মন্ত্রিসভার মাধ্যমে ছোটবেলার শখ পূরণ করে চলেছেন। ইউজিসি থেকে রাজ্যের ইউনিভার্সিটিগুলোতে আসা ফান্ডিংকে নিয়ন্ত্রন করার ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।”

এছাড়াও তিনি লেখেন, “রাজাবাবু! আমাদের কলেজ লাইফের একটা সিনেমা। যেখানে সিনেমার নায়ক বাস্তবে কোনো প্রশংসনীয় কাজ কর্ম না করলেও নিজেকে যে যে পেশায় যে যে রূপে দেখতে চাইতেন, ঠিক সেইরকম পোশাকে ছবি তুলে দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখতেন। আজ হঠাৎ করে সিনেমার কথা মনে পড়ল আর কি।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করেন এদিন।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর