বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপির অন্দরের পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিজেপি নেতার মুখ খোলার পর থেকেই তাদের দল বদলের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠেছে। এদিন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য সেই সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে তুললো।
এদিন এক সাক্ষাৎকারের সময় অর্জুন সিং তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, “এখন সকলের ঘুম ভেঙেছে। ধীরে ধীরে আরও অনেকেরই ঘুম ভাঙবে এবং তাদের মুখ খুলতে দেখা যাবে।” প্রসঙ্গত, পাটের দাম নিয়ে বর্তমানে বিতর্ক বাংলা থেকে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “এখন দেশে আম্বানি ও আদানির মতো শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্লাস্টিকের ব্যবসা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই পাট শিল্পের ওপর কোপ মারা হয়েছে। যেভাবে পাটের দাম দিনের পর দিন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এরপর পাট শিল্পী থেকে চাষী সকলের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমার এলাকাতে অনেক ভোটার রয়েছে, যারা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। জুটমিলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এই চক্রান্ত চলছে।”
এছাড়াও এদিন তিনি বলেন, “এলাকায় মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করা হলো আমার প্রধান দায়িত্ব। আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি কিভাবে জুটমিলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমি বসে বসে এসব সহ্য করতে পারবো না।” এছাড়াও এদিন অর্জুনের বক্তব্যে চলে আসে বিধানসভা হারের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় যে সকল লোকেদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে মানুষের কোনরকম যোগাযোগ ছিল না। সে কারণে আমরা পরাজিত হই।”
এদিন বিজেপি দলের সংগঠন নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বর্তমানে দলের সংগঠন বলে কোনো জিনিস নেই। বাংলায় বুথ স্তরে যদি কোন দলের সংগঠন মজবুত না হয়, তবে কখনোই ক্ষমতায় আসা যায়না। এর পর তিনি কটাক্ষ সুরে বলেন, “বিজেপি দল ফেসবুকে থাকলেও বুথে নেই। আমাকে কিছুদিন পূর্বে আসানসোল উপনির্বাচনের জন্য প্রচারে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়েই আমি বুঝতে পারি যে সেখানে দলের জেতার কোনো রকম সম্ভাবনাই নেই। এখন আপনারা সকলেই দেখতে পেলেন কিভাবে আমরা হারলাম। আসলে ভোট এবং রাজনীতি এক জিনিস নয়, শুধুমাত্র ফেসবুকে থেকে কখনোই ভোটে জেতা যায় না।”