বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ের পর হয়ে গিয়েছে বধূবরণও। বৌভাতের দুপুরে তখন চলছে ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। সেই সময়েই শুরু হুলুস্থুল। বিয়ে বাড়িই যেন বদলে গেল সাক্ষাৎ কুরুক্ষেত্র। কিন্তু ব্যাপারটা কী? এই বিয়ের আগেই নাকি গোপনে আরও একখানা বিয়ে সেরেছিল বর। আর বরের এই দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুলুস্থুল বাঁধালেন বিজেপি নেত্রী। এমনকি তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।সেখানকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্পনা বসুর ছেলে ইন্দ্রনীল বসুর বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন কালনার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। যুবতীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দ্রনীলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। ১০ বছর আগে ২০১২ সালে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা দুজন। দুই পরিবারই মেনে নিয়েছিল সেই বিয়ে। শুধু বিয়েই নয়, স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাসও করেন অভিযুক্ত এমনটাই অভিযোগ ওই বিজেপি নেত্রীর। এতদিন সেভাবে একসঙ্গে ঘর সংসার না করলেও যোগাযোগ ছিল দুজনের মধ্যে।
ওই যুবতী জানান, মাস কয়েক ধরে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ইন্দ্রনীল। এরপরই তিনি খবর পান আবার বিয়ে করছেন ইন্দ্রনীল। দিন দুয়েক আগে এই খবর পেয়ে ‘স্বামীর’ বাড়িতে উপস্থিত হন ওই বিজেপি নেত্রী। কিন্তু সেই সময় তাঁকে অপমান করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।
এরপরই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবতী। কালনা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি। যদিও পুরো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর পরিবার। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্পনা বসু বলেন, ‘থানা থেকে এই বিষয়ে কোনও অফিসিয়াল কপি আমার কাছে এখনও আসেনি। যে যুবতী অভিযোগ করছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে, সে পুরভোটের বিজেপি পার্টির হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হয়ে আমার পরিবারকে।’ ঘটনার জেরে যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় তা বলাই বাহুল্য।