বীরভূমে পিটিয়ে খুন বিজেপি নেতা! আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা সামনে আসতেই বীরভূমের খয়রাশোল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার রাতে একদল মানুষ বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুন করেছে সেখানে। ঘটনার পর এখনও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, খুনের বদলা নিতে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বিজেপির ওই নেতাকে। যদিও, বিজেপি দাবি করেছে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁদের কর্মীকে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত বিজেপি নেতার নাম মিঠুন বাগদি। খয়রাশোলের বিজেপি মণ্ডলের বুথ সভাপতি ছিল সে। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত মিঠুন।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী। কয়েকমাস আগে এলাকায় রাজু বাগদি নামের এক ২৭ বছর বয়সী যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। রাজুর পরিবার এই ঘটনার পিছনে মিঠুনের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছিল। এরপর তিনমাস মিঠুনকে হাজতে কাটাতে হয়। শনিবার জামিন পেয়ে বাড়িতে এসেছিল মিঠুন। আর এরপর রাজুর পরিবার তাঁর উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধোর করে। কাঁকড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিঠুনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

বীরভূম জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন, ‘মিঠুন বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিল বলেই তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৩ মাস জেল খাটানো হয়েছে। এরপর জামিনে মুক্তি পেলে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রাণ গেল মিঠুনের। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”

আরেকদিকে, বীরভূম জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জী বিজেপির সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, ‘পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছে। এখানে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।” ঘটনার পরিপেক্ষিতে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর