বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) নয়া মোড়। ইতিমধ্যেই এই হাইপ্রোফাইল মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ একাধিক হেভিওয়েট। এবার এই মামলায় নাম জড়াল পদ্ম শিবিরের দুই প্রভাবশালীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়।
‘ভারতী ঘোষ কাউকে ভয় না’! বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী (Bharati Ghosh)
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একটি নাম তালিকা পেয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি তা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে রিপোর্ট আকারে পেশ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির ভারতী ঘোষ, দিব্যেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে তৃণমূলের মমতা ঠাকুর, শওকত মোল্লাদের মতো হেভিওয়েটদের নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরি প্রার্থীদের নাম সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা।
এদিকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি (BJP) নেত্রী। যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে তিনি বলেন, ‘কোনও জায়গা থেকে যদি নাম এসে থাকে, ভাই, আমায় ডাকুন। আমার সঙ্গে কথা বলুন। কথা নেই, বার্তা নেই, আপনারা যা ইচ্ছা তাই করবেন? চাকরি জীবনে বহু মানুষের বহু উপকার করেছি। তবে সব কাজ আমি আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে করেছি’।
আরও পড়ুনঃ ধোপে টিকল না রাজ্যের যুক্তি! নতুন করে বিচারের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
ভারতী (Bharati Ghosh) দাবি করেন, ‘আমি অনেক ভাবলাম। সকালে যখন খবরটা পেলাম, তখন ভেবে দেখলাম, বিষ্ণুপুর থেকে একটা মেয়ে এসেছিল। তার মেদিনীপুরে সেন্টার পড়েছিল। তবে সে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর সেন্টার চেয়েছিল। ওনার বাড়িতে কে একজন ভীষণ অসুস্থ ছিল। তখন আমি হয়তো লিখে থাকতে পারি বা বলে থাকতে পারি। কিন্তু মানুষের উপকার করতে গিয়ে চার্জশিটে নাম ঢুকিয়ে দেবে…! সেটা তো কখনও ভাবিনি’।
বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘আমি সিবিআইকে বলব, কাম আউট ক্লিন। যা আছে সবার সামনে বের করুন না। একটু দেখি, বুঝি। একটা নাম ঢোকাচ্ছেন। একটা রেপুটেশনে দাগ লাগানোর চেষ্টা করছেন। করবেন না। ভারতী ঘোষ কাউকে ভয় পায় না। জীবনে ভয় পাইনি, এখনও ভয় পায় না’।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। গত বছর জুন মাসে বিকাশ ভবনের গোডাউনে ৩ দিন ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু নথি। সিবিআইয়ের দাবি, সেখানে একটি নথিতে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ৩২৪ জন প্রার্থীর নাম এবং রোল নম্বর পাওয়া গিয়েছিল। সেই প্রার্থীদের নাম কারা সুপারিশ করেছিল, সেটাও লেখা ছিল ওই নথিতে। সেখান থেকেই, ভারতী ঘোষ, দিব্যেন্দু অধিকারী, মমতা ঠাকুরদের নাম জানা যায় বলে খবর।
এদিকে ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) একসময় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্নেহভাজন’ ছিলেন। সেই সময় তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। পরবর্তী বিজেপিতে যোগদান করেন। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়াল তাঁর নাম। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেত্রী।
‘খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি…’ আরও এক দুর্নীতির ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু! তোলপাড় বাংলা