বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়লেও কোন মতেই হিংসার আবহকে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি অমিত শাহের বঙ্গ সফরের মাঝেই কাশীপুরে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি তরজা। সেই বিতর্কের আঁচ থামতে না থামতেই খেজুরিতে আবারো উদ্ধার হল এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। এদিন তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করার পরেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, খেজুরি থানার অন্তর্গত বালিচক গ্রামের বাসিন্দা 22 বছরের দেবাশীষ মান্নার দেহ এদিন তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশগোড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছ থেকে ঝুলতে দেখা যায়। মৃত যুবক এবং তার বাবা এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত।
বর্তমানে তার দেহ উদ্ধার করার পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য তা পাঠানো হয়। মৃত বিজেপি কর্মী কলকাতায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিছুদিন পূর্বেই সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসে সে আর কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্যই বাড়িতে তার সাথে সকলের অশান্তি হয় বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশের দাবি যে, পারিবারিক অশান্তির কারণে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই যুবক। যদিও বর্তমানে বিজেপি দলের নেতারা পুলিশের দাবি মানতে নারাজ। খেজুরের বিজেপি নেতা তাপস কুমার দলুই বলেন, “কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানি না। তবে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ আমাদের কর্মীর দেহ উদ্ধার করা থেকে শুরু করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো নিয়ে যে পরিমাণ তৎপরতা দেখিয়েছে তা বেশ সন্দেহের। কয়েকদিন ধরে ওই যুবক বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ ছিল আর তার পরই তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো। এর পিছনে কি কারণ আছে, তার তদন্ত দরকার।”