বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজকার মতো আজ সকালেও নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন রাজ্যকে। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ সিবিআই জেরার মুখে পড়েন অভিষেক। বেরিয়ে নেতা বলেন নবজোয়ার বন্ধ করার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এদিন পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘ঝড়েই তো বন্ধ হয়ে গেছিল নবজোয়ার যাত্রা তখন তো কিছু বলেনি। উনি রেস্ট পেয়ে গেলেন ধন্যবাদ দিন সিবিআইকে। না সারা বছর নবজোয়ার করুন কে মানা করেছে। কিন্তু যখন উনি বলেছেন সিবিআই ডেকেছে সহযোগিতা করবেন তখন উচিত সেটাই করা। বেরিয়ে এসে আবার উল্টোপাল্টা বলছেন কেন’।
গতকাল সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে কেন্দ্র ও বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন অভিষেক। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে তোপ দেগে বলেন, “প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গিয়েছে, ওনাকে জিজ্ঞেস করছে না কেন?” এই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমার নাম জপ করে বাঁচতে পারবেন না। আমি তো ভগবান নই যে আমার নাম নিলে বেঁচে যাবেন। যে যা করেছে তার জবাব কোর্টে গিয়ে দিতে হবে দিলীপ ঘোষকে যেদিন ডাকবে দিলীপ ঘোষ গিয়ে জবাব দেবে’।
শনিবার জেরা শেষে অভিষেক আরও বলেন, তার কাছে যাদের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছে তার বেশিরভাগ পূর্ব মেদিনীপুরের। বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর জেলাতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এদিন পাল্টা এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তথ্য প্রমান দিন না, চোরেরা কি বলল কি যায় আসে। অনেকে অনেক কিছু বলছে বাঁচার জন্য লোকেরা তদন্ত করার জন্য কোর্টে গেছেন কোর্ট সিবিআই-এর নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআই তথ্য নিয়ে এসে যে কোনও লোকের নামে গিয়ে কমপ্লেন করতে পারেন। আমাদের নামেও তো অনেকে কোর্টে গিয়েছিল। চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যায় বংশ চোর, তারা বড় বড় কথা বলে কি করে’।
পাশাপাশি অভিষেকের নবজোয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি কী দাবি করছেন যায় আসেনা। যাত্রা হচ্ছে না মারপিট তা তো আমরা দেখলাম কারা আছে। ওদের পার্টির গুন্ডারা নিজেরা মারামারি করছে আর কিছু না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওদের কোথাও সম্পর্ক নেই সাধারণ মানুষ কেউ দেখতেও যায় না’।