বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চটকদার হুমকিতে তাকে টেক্কা দেওয়াটা বেজায় কঠিন। নিজের কড়া কড়া মন্তব্যের জন্য সর্বদাই বিতর্কের শিরোনামে বড়সড় জায়গা করে নেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর এবার একেবারে ‘বাঁচার কোনও রাস্তা নেই’ বলে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে চর্চায় ঘোষবাবু।
শনিবার বাঁকুড়া (Bankura) শহরের মাচানতলায় ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপবাবু। সেখান থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “মোদীর পিছনে কাঠি দিলে উদ্ধব ঠাকরে হবে, নীতিশ কুমার হবে, মুলায়ম হবে। বাকি শেষে মমতার হবে।”
তবে এখানেই শেষ। এর পরই পূর্বের যাবতীয় বিতর্কের পরিধিকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিলীপ বাবুর মন্তব্য, “আমরা সমাজের সঙ্গে আছি। যারা পিছনে লাগবে আজ হোক বা কাল, হয় ভগবান না হলে সিবিআই নিয়ে যাবে”। দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পরই জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শাসকদল তৃণমূলের দাবি, দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা, নতুবা প্রাণে মেরে দিতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধাচরণ করলে বেঁচে থাকা যাবে না, মরে যেতে হবে, ঠিক এই কথাটাই সহজ-সরল স্বীকারোক্তির মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবু।”
শনিবার বাঁকুড়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে আর কী কী বলেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপি নেতা নলেন, “যারা এত বছর ধরে দেশের সম্পদ লুঠ করেছে, তারা সবাই একে একে তিহাড়ে গিয়েছে। লাইনে আরও রয়েছে, অনেকেই যাবে। নিয়ে ওখানে গিয়ে সব একসঙ্গে বসে ‘বিরোধী ঐক্য মঞ্চ’ তৈরি করবে। তাতে যদি ওদের কিছু লাভ হয়”। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন যে ‘বাঁচার কোনও রাস্তা নেই। একটা সময় জঙ্গলমহলের মানুষ বাঘ, হাতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ছিলেন। এখন তার চেয়েও ‘ভয়ঙ্কর তৃণমূল’।
তার সংযোজন, “যারা এত বছর ধরে দেশের সম্পদ লুঠ করেছে, তারা সবাই একে একে তিহাড়ে গিয়েছে। লাইনে আরও রয়েছে, অনেকেই যাবে। নিয়ে ওখানে গিয়ে সব একসঙ্গে বসে ‘বিরোধী ঐক্য মঞ্চ’ তৈরি করবে। তাতে যদি ওদের কিছু লাভ হয়”।
পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে তৃণমূল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) এখন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীদের নকল করছেন।” তবে এসব করেও লাভের লাভ কিছুই হবেনা বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…