বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি BJP-র সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান এই সৈনিক পদ হারাতেই শোরগোল পড়ে যায়। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চৰ্চা চলছিল বেশ কিছুদিন থেকে। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে মুরলিধর সেন লেনে গেরুয়া সাংসদ দিলীপ ঘোষের ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
দিলীপবাবুর ঘর ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আসার পর নেতা জানিয়েছিলেন ঘর না থাকলেও মুরলীধর সেন লেনের দপ্তরেই তিনি যাবেন। সেখানে গিয়েই দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন। আর সেই মতোই শুক্রবার বিকেলে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য দপ্তরেই গেলেন ঘোষবাবু। শুধু তাই নয়, পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি সাফ কথায় বলেন, ‘‘আমি তো রাস্তায় বসে চা খাই। আমার বসার চিন্তা কী আছে।’’
শুক্রবার পুরনো রাজ্যদপ্তরে এসে পিছনের দোতলা বিল্ডিংয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর ঘরে গিয়ে বসেন তিনি। সেখানেই কথা বলেন দলের কর্মীদের সাথে। ঘর নিয়ে সোজাসুজি কোনও কথা না উঠলেও দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যে তিনি মোটেও খুশি নয় তার প্রমাণ মেলে নেতার কথা-বার্তাতেই। দিলীপবাবু মাটির মানুষ। খুবই সাধারণ জীবনযাপন। তাই শুধুমাত্র দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিলাসবহুল অফিসে তিনি যাননি।
আরও পড়ুন: ‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে দিল্লি থেকে আরও অফিসার আসছেন’, বিচারপতির চাপে দিনক্ষণ জানাল ED
আর গিয়েই বা কী করবেন! মুরলীধর সেন লেনের পুরনো দফতরের ঘর ভাঙার পর যেমন তাকে নতুন কোনও ঘর দেওয়া হয়নি, ঠিক তেমন সল্টলেকের নতুন কার্যালয়েও তার জন্য কোনও ঘর নেই। যেই দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপির সাফল্যের অন্যতম প্রধান কান্ডারি তার সাথে দলের এরূপ আচরণ মোটেও প্রত্যাশিত নয় বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, মুরলিধর সেন লেনে দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কারের জন্য দুই বিজেপি নেতার ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘোষ ও সিনহাবাবুর ঘর ভেঙে সেখানে আইটি সেলের দফতর গড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই নিয়েই জোড় চৰ্চা। যদিও ঘর ভাঙার ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন , “সংস্কারের জন্য ভাঙা হচ্ছে, আমার ঘরও ভাঙা হবে।”