মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই ‘সুরবদল’! বৃহস্পতিতেই বড় মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দেয় একটি ছবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে বসে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বাংলা হান্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্যের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যাবেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বিকেলে সেই খবরেই শিলমোহর পড়ে। সেই সঙ্গেই মাথাচাড়া দেয় পদ্ম নেতার দলবদলের জল্পনা। এই আবহে বৃহস্পতিবার সকালে সৈকত শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বড় মন্তব্য করলেন তিনি।

স্ত্রী রিঙ্কুকে সঙ্গে নিয়েই হাঁটতে বেরোলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)!

গতকাল, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালেই বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, দুপুরে শুভ ক্ষণে দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখানে উপস্থিত হন সস্ত্রীক দিলীপ। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দলবদল থেকে বিজেপি, নানান ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।

রুটিন মাফিক এদিন সকালে হাঁটতে বের‍িয়ে পড়েন দিলীপ। স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন, কথা বলেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আসা নিয়ে এত শোরগোল। এই বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে কোনও ফোন এসেছিল? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেছিল। তবে দল থেকে অফিশিয়ালি কেউ আমায় স্বাগতও জানায়নি, বারণও করেনি’।

আরও পড়ুনঃ মাসের শুরুতেই ১৭ টাকা দাম কমল LPG গ্যাস সিলিন্ডারের, কলকাতায় কত হল নতুন প্রাইস? 

এদিন কথার সূত্রে উঠে আসে সুভাষ চক্রবর্তীর প্রসঙ্গও। তিনি তারাপীঠ গিয়েছিলেন, দিলীপ এলেন জগন্নাথ মন্দিরে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘যারা স্বতন্ত্র, স্বাভিমানী রাজনীতি করে, পার্টি তাঁদের দেখেই চলে। বামফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি লাখ লাখ লোক নিয়ে আসতেন, ব্রিগেডে ভাষণ দিতেন নেতারা। কারোর লোক নিয়ে আসার ক্ষমতা ছিল না’।

Is Dilip Ghosh going to join Trinamool on July 21.

দিলীপ আরও বলেন, ‘পার্টিতে হিংসা থাকবেই। দলের কর্মীরা কার ওপর ভরসা করেন, কে লড়াই করতে শিখিয়েছে, জিততে শিখিয়েছে, সেটা দেখতে হবে। কারোর সঙ্গে কথা বললেই যদি দল থেকে চলে যাওয়া হয়, রাজনীতিকভাবে ওই নীতিকে ঘৃণা করি’।

উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ছবি ভাইরাল হতেই একের পর এক সরব হন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লেখেন, ‘আজকের পর থেকে আমি অন্তত আপনাকে আর আমার নেতা মানতে পারব না। ভালো থাকবেন দিলীপদা’। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের কথায়, ‘একজন ‘ত্যাগী’ থেকে কীভাবে ‘ভোগী’ হতে হয়, তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপবাবু’।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X