বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ‘ফুল ফর্মে’ রয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন তিনি। এবার যেমন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে গ্রেফতারির দাবি জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) নিশানা করেছেন।
অভিষেককে আক্রমণ দিলীপের (Dilip Ghosh)!
বুধবার দুর্গাপুরের বিধাননগর সান্টোস ক্লাবের মাঠে প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। সেই সময়ই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি। সেই সঙ্গেই অভিষেককে নিশানা করেন।
দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মতো লোককে আফস্পা আইনে জেলে ভরা উচিত। এক নম্বরের দেশদ্রোহী একটা, সাম্প্রদায়িক লোক। এই ধরণের লোকেদের কাঁধে চড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। তাই এদের কিছু বলার সাহস নেই। এদের সবার একদিন হিসেব হবে’।
আরও পড়ুনঃ ‘পরে সময় আসবে আমরাও দেখে নেব’! ‘সরকার নামিয়ে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি চাকরিহারাদের
রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেককেও নিশানা করেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলী বলেন, ‘অভিষেক তো বলেছিলেন, পুলিশের গাড়ি জ্বালালে কপালের মাঝখানে নাকি গুলি করবেন। ওনার রক্ত আজ ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে? দম থাকে তো মুর্শিদাবাদে গিয়ে গুলি চালাও’।
এখানেই না থেমে দিলীপ আরও বলেন, ‘তোমরা সব কাপুরুষ। শান্তিপ্রিয়-ভদ্র লোকেদের চমকাও। তোমাদের দম নেই। তাহলে কাল সিংহাসন টলে যাবে। ভিখারি হয়ে যাবে, রাস্তায় নেবে আসবে’।
সম্প্রতি তৃণমূল (TMC) সাংসদদের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ শুরু হয়েছে। দলের এক মহিলা সাংসদ, সৌগত রায়, কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে এর পাল্টা দেন দমদমের এমপি সৌগত। এই ‘দ্বৈরথ’ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ।
মেদিনীপুরের সাবেক সাংসদ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলে সবাই চোর। এখন শুধু আমরা নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরাই বলে দিচ্ছে ওরা সবাই চোর। শুধু বললে হবে না, সকলের বিচার হবে। সকলের নাম আসবে। কান টানলেই মাথা আসবে’।
এদিন ওয়াকফ আইন নিয়েও বার্তা দেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে শাসকদলের বদান্যতায় মুসলিমদের একাংশ ওয়াকফ সম্পত্তি লুটেপুটে খাচ্ছে। এখন ওয়াকফ আইন পাশ হতেই তাঁরা ফুঁসে উঠেছেন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, ‘কিছু সজ্জন ব্যক্তি যে উদ্দেশে সম্পত্তি দান করেছিলেন, সেটা সাধিত হচ্ছে না। গরিব মুসলিমরা নতুন আইনের ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির সুবিধা পাবেন’।