বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলোয় সেজে উঠল বাড়ি। বৈশাখী সন্ধ্যায় এক হচ্ছে চার হাত। বঙ্গ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে। ষাট বছর বয়সে এসে নিজের জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করছেন দিলীপবাবু। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী, রিংকু মজুমদারকে (Rinku Majumdar)।
রিঙ্কু বিবাহবিচ্ছিন্না। পেশায় মূলত গৃহবধূ। বছর পঁচিশের এক পুত্রের জননী। বিয়েতে দুই পরিবারের কাছের লোকেরা থাকলেও থাকছেন না রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র প্রীতম মজুমদার। কিন্তু নিজে না থাকলেও দিলীপ ঘোষের মতন ভাল মানুষকে তাঁর মা জীবনসঙ্গী হিসাবে পাচ্ছেন এতেই অত্যন্ত খুশি তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি যে আমার মা দিলীপ ঘোষের মতো একজন ভালো মানুষের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাবে।” এদিন সকালেই রিঙ্কু জানান, তাঁর ছেলে বিয়েতে থাকবে না। ঘুরতে গিয়েছে সে। প্রীতমও জানালেন যেহেতু মায়ের বিয়েতে ছেলেকে থাকতে নেই, তাই তিনি বিয়েতে থাকছেন না। দিঘায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।
হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘দিলীপের রিঙ্কু’ জানান, ‘আমাদের হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে শিমলা বা গোয়া যাওয়ার কথা হয়েছে। তবে এখন যেতে পারব কি না সেটা বলতে পারছি না।’
বিয়ে নিয়ে আর কী বললেন রিঙ্কু? Dilip Ghosh Rinku Majumdar
রিঙ্কু বলেন, “আমি খুবই উদ্বেলিত।” রাজনীতিতে নিজের ‘বোল্ডনেসের’ জন্যই অধিক চর্চিত হন দিলীপ। তাঁর মুখে নাকি লাগাম লাগানো যায় না। এই প্রসঙ্গ উঠতেই রিঙ্কু বলেন, “ওইজন্যই আমি ওঁকে পছন্দ করি। আমার মধ্যেও রাষ্ট্রায়ত্ত বোধ রয়েছে। আমি আর পাঁচটা মেয়ের মতো স্বাভাবিক নই। ওঁকে আমার ওই জন্যই ভাল লেগেছে। ওঁর আত্মত্যাগ। দল, দেশ, রাজ্যের জন্য ওঁর যে নিষ্ঠা রয়েছে, এসবই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।”
আরও পড়ুন: ‘সারারাত কেউ ঘুমোচ্ছে না, যদি তুলে নিয়ে যায়’, মালদহের আশ্রয় শিবিরে আতঙ্কে ঘরছাড়া শরণার্থীরা
শোনা যাচ্ছে মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়ে করছেন দিলীপ ঘোষ। গতকাল রিঙ্কু বলেন, ‘মাকেও (দিলীপ ঘোষের মা) দেখাশোনা করব। রাজনীতিতে পুরোপুরি সামনে না এলেও পিছনে থেকে ওঁকে (দিলীপ ঘোষ) সমর্থন করব।”