বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজান নিয়ে বিতর্কিত (Azaan Controvercy) মন্তব্য করে ফের সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন এক বিজেপি নেতা। কর্ণাটকের (Karnataka) কেএস ইশ্বরাপ্পা (K S Eshwarappa) এদিন বলে বসেন আজান শুনলেই তাঁর নাকি মাথা ব্যাথা করে। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় গোটা দেশে। আর তারপরই ওঠে সমালোচনার ঝড়। বিরোধী পক্ষ নিশানা করতে শুরু করে কর্ণাটকের বিজেপি সরকারকে।
কেন এমন বললেন ইশ্বরাপ্পা? জানা যাচ্ছে, কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে একটি সভায় বক্তৃতা রাখছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁর বক্তৃতার মধ্যেই হঠাৎ মসজিদের লাউডস্পিকারে আজান বেজে ওঠে। ভাষণের মাঝে ছেদ পড়ায় মনঃক্ষুণ্ন হন ইশ্বরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কি শুধু এই লাউডস্পিকারের শব্দই শুনতে পান? আমরাও তো মন্দিরে পুজো করি। শ্লোক মন্ত্র বলি। ভক্তির দিক থেকে ভারত সবার সেরা। আল্লাহ যদি একমাত্র এসব চ্যাঁচামেচিই শুনতে পান তাহলে বলা উচিত আল্লাহ বধির। কানে শুনতে পান না তিনি। আমি আগেও বলেছি, এসব বন্ধ করা উচিৎ।’
এরপরই যোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমাদের সব ধর্মকে সম্মান করতে শিখিয়েছেন। কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হচ্ছি। মাইক্রোফন ব্যবহার না করলে কি আল্লা শুনতে পান না?” স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। এরপরই কার্যত হুঙ্কারের সুরেই বলেন, আজান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে আজ নয়তো কাজ এই আজানের ইতি ঘটবে।
এর আগে, একটি আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে বেজায় বিপাকে পড়েন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। পরিস্থিতি এমনই হয়ে যায় তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠে যায়। অবশ্য ঈশ্বরাপ্পার দাবি, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাপ্রচার’ করা হচ্ছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই জানিয়েছিলেন, কোনও পদক্ষেপের আগে তিনি ঈশ্বরাপ্পার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন।
কর্নাটকের উদুপির একটি লজে আত্মহত্যা করেন সন্তোষ পাটিল নামে ৩৭ বছরের এক ঠিকাদার। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন অভিযুক্ত মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ।