বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, উত্তর সিকিমে পাহাড় থেকে হাজার ফুট নিচে তিস্তার জলে পড়ে যায় (Accident) পর্যটকদের একটি গাড়ি। এদিকে, ওই গাড়িতে পড়ি স্যার জাজপুর রোড এলাকার বিজেপি নেত্রী ইতিশ্রী জেনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ চুংথাং এবং মুন্সিথাংয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাহাড় থেকে ১,০০০ ফুট নিচে তিস্তায় পড়ল (Accident) গাড়ি:
জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় (Accident) ১ জনের মৃত্যু এবং ৮ জনের নিখোঁজ থাকার খবর মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে থাকা পর্যটকদের অধিকাংশই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ওই গাড়িটিতে মোট ১১ জন (১০ জন পর্যটক এবং ১ জন চালক) ছিলেন বলেও খবর মিলেছে।
সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে মুন্সিথাং যাওয়ার পথে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে। এমতাবস্থায়, স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উভয় রাজ্যের প্রশাসনই ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সহায়তা করছে।

ঘটনাটির পরিপ্রেক্ষিতে মাঙ্গান জেলার পুলিশ সুপার সোনম দে ভুটিয়া জানিয়েছেন যে, ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের মাঙ্গান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৫-এ ফাইনালে এন্ট্রি RCB-র! লজ্জার রেকর্ড গড়ে “অপেক্ষায়” পাঞ্জাব
এদিকে, ইতিমধ্যেই নিখোঁজ পর্যটকদের একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, “আমার মা, মাসি, ইতিশ্রী জেনা, এবং আমার দুই মেসো সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত রবিবার তাঁরা জাজপুর রোড থেকে ট্রেন ধরেছিলেন। গ্যাংটক থেকে তারা ১,০০০ ফুট উঁচুতে জিরো পয়েন্টে বেড়াতে যান। ফেরার পথে আমার মা এবং বড় মেসো একটি পৃথক গাড়িতে বসেছিলেন। আমার মাসি, তাঁর ছেলে, ছোট মেসো এবং তাঁর ছেলে আরেকটি গাড়িতে ছিলেন। ওই গাড়িটিই দুর্ঘটনার (Accident) শিকার হয়। ভাগ্যক্রমে দুই নাবালককে আমার মেসো এবং মাসি দুর্ঘটনার সময়ে বাইরে ছুঁড়ে দেন। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা প্রত্যেকেই আমার পরিবারের সদস্য। কিছুক্ষণ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও।”
আরও পড়ুন: মিছিলে গদা হাতে অনুব্রতর “দাপট”! ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কাজল শেখ, বীরভূমে দুই নেতার দ্বন্দ্ব
তবে, কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident) ঘটল তার স্পষ্ট কারণ এখনও জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে রাতে প্রবল কুয়াশা এবং বৃষ্টির কারণে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল রাস্তা। সেই কারণেই হয়তো গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। এমতাবস্থায়, প্রতিকূল পরিবেশ এবং আবহাওয়ার মধ্যেই সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে, ITBP, সিকিম পুলিশ, জেলা আধিকারিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার অভিযান জোরদার করেছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়া উদ্ধার কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলেও জানা গিয়ে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: